ফুলবাড়ীতে চাঁদা তুলে ও স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণ: সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা

জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি আগস্ট ৭, ২০২১, ০৩:৪৯ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
কুড়িগ্রামঃ দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ব্যক্তিমালিকানায় নিয়ে বিভিন্ন প্রকার গাছ লাগিয়ে এলাকাবাসীকে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলের নিষেধ করায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চর বড়লই গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ। চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাস্তা না থাকায় ৮৮ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেকর্ডকৃত আধা কিলোমিটার রাস্তাটি চাঁদা তুলে  ও স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে এলাকাবাসী। রাস্তাটির সম্পূর্ণ নির্মাণ করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপজেলা চেয়ারম্যান ও  স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের চড় বড়লই মৌজার প্রায় ২ হাজার মানুষের চলাচলে ব্যবহৃত রাস্তাটি ব্যক্তিমালিকের দখলে নেওয়ায় এখন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। চার  গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ছিল এটি।
 
এলাকায় অবস্থিত ৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ টি মাদ্রাসার প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী  এই রাস্তাটি ব্যবহার করে। তাছাড়া চরে উৎপাদিত বিভিন্ন খাদ্য-শষ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করনে এই রাস্তাটির গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রয়েছে। হঠাৎ রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় চলাচল করতে ১৯৮৮ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত  রহিম সাধুর বাড়ী থেকে চড় বড়লই ঈদগ মাঠ পর্যন্ত সরকারি রেকর্ডভুক্ত আধা কিলোমিটার রাস্তাটি নিজেদের উদ্যোগে চাঁদাতুলে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণের উদ্যোগ করে এলাকাবাসী। কিন্তু নির্মাণ কাজ  শেষ করতে   যে পরিমান অর্থের প্রয়োজন  তার ব্যয়ভার এলাকাবাসীর পক্ষে বহন করা সম্ভব না । তাই রাস্তাটি সম্পূর্ন করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও  স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই এলাকাবাসী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য খইমুদ্দিন জানান, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ব্যক্তিমালিকানরা হওয়ায় রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে,এখন প্রায় দুই হাজার মানুষের চলাফেরা  করার জন্য আমরা নিজ উদ্যোগে রাস্তা নির্মানের কাজ শুরু করেছি ,কিন্তু রাস্তার কাজ শেষ করতে অনেক টাকার দরকার, তাই আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ও  স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এলাকাবাসী, আশরাফুল, রহিম সাধু, আব্দুল খালেক জানান, বন্ধ হওয়া রাস্তাটি দিয়ে,উৎপাদিত ফসল আনা নেওয়া প্রায় দুই মানুষ সহ তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া  প্রায় দুই শতাধিক  শিক্ষার্থী চলাফেরা করেছিল, বর্তমানে সে রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় আমরা এলাকাবাসী নিজেরা চাঁদা তুলে নিজ উদ্যেগে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। রাস্তাটি সম্পূর্ন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন তাই আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান খয়বর আলী জানান, এলাকাবাসী আমাকে অভিাযোগ করেছে আমি সেটি তদন্ত করে দেখেছি, তাদের হাটার কোন রাস্তা নেই,ওই এলাবাসীরা নিজেরা টাকা হার  নিজ উদ্যোগে পাশেই একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে,সেখানে আমিও কিছু টাকা দিয়েছি,তবে রাস্তাটি সম্পূর্ন নির্মানের ব্যাপারে আমি  উপজেলা চেয়ারম্যান ও  স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে কথা বলব।

এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার জানান, বর্ষাকাল পার হলে আমরা একটি স্কীমের মাধ্যমে রাস্তাটি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।