নারায়ণগঞ্জঃ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার প্রথম দিনেই তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরীতে হাজার হাজার শ্রমিকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। রবিবার সকাল থেকে বিসিক এ দল বেঁধে প্রবেশ করছে নিজ নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য। তবে সামাজিক দুরত্ব মানতে দেখা যায়নি। শ্রমিকদের অধিকাংশই মাস্ক পড়েনি।
বিধিনিষেধের মধ্যেই রোববার সকাল থেকে ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরীতে ছোট বড় মিলিয়ে ছয় শতাধিক রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন।
হঠাৎ গার্মেন্টস খুলে দেয়ার ঘোষণা গতকাল বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শ্রমিকরা আসতে শুরু করে। যানবাহন না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ভেঙে ভেঙে আসতে হয়েছে। দিতে হয়েছে কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া। তারা গাড়ি চালুরও দাবী করেন।
শ্রমিকরা সামাজিক দুরত্ব মানছে না এবং অধিকাংশই মাস্ক না পড়ার বিষয়ে বিসিকের নিরাপত্তাকর্মী সৌরভ হোসেন দাবী প্রথম দিনে একটু সমস্যা হলেও তারা এ জন্য কাজ করছেন। মাস্কছাড়াদের ফিরিয়ে দেয়া হয় বলেও দাবী করেন।
নানা মাধ্যমে খবর পেয়ে কর্মস্থলে যোগ দিতে আজও ঢাকা-চট্টগ্রামও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ইজিবাইক, সিএনজি ও রিকশা, পিকআপভ্যানসহ পায়ে হেটেই ছোট পথ ধওে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার দিকে ছুটছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
এদিকে মহাসড়কে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পোশাককারখানার শ্রমিক ছাড়া যারা বিনা কারনে চলাচল করছেন কিনবা যানবাহন নিয়ে বের হয়েছে তাদের গুনতে হচ্ছে জরিমানা। কঠোর লক ডাউন কার্যকর করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ২৩টি স্থানে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। টহলরত অবস্থায় রয়েছ পুলিশের ২১টি মোবাইল টিম,র্যাব, বিজিবি। মেজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে রয়েছে ২৩টি ভ্রাম্যমান আদালত।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরীতে ৬৩০ টি কলকারখানা ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানায় প্রায় ২লাখ ৭০ হাজার কাজ করেন। শ্রমিকরা কাজে ফিরতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমী ইপিজেড, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনাগাঁও সহ নগরীতে গড়ে উঠা আট শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। সেখানেও কাজে ফিরছেন অসংখ্য শ্রমিক।