সিরাজগঞ্জ: ঈদুল আজহার পরেরদিনের সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক ফাঁকা থাকলেও ব্যাস্ততা দেখা গিয়েছে হাটিকুমরুল ও কড্ডার ঢাকামুখি বাসস্ট্যান্ডে। অনেকেই কর্মস্থলে ফিরতে বেছে নিয়েছেন এই রাত্রী কালীন যাত্রা। অন্যদিকে রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে ১৫দিনের কঠোর লকডাউন। যার ফলে ঢাকাগামী অসংখ্য বাস থাকলেও নেই আশানুরূপ যাত্রী। এর মধ্যে বেশিরভাগ বাসই ঢাকা ফেরত।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উত্তরবঙ্গ-ঢাকা মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে মহাসড়ক অনেকটা ফাঁকা থাকলেও ব্যস্ত রয়েছে বাসস্ট্যান্ডগুলো। ঢাকামুখি মহাসড়কের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় দেখা গেছে অন্তত প্রায় শতাধিক বাস যাত্রীর অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকলেও দেখা মিলছেনা আশানুরূপ যাত্রীর। বাসের সুপারভাইজার হেলপার দের হাক ডাকে মুখরিত বাসস্ট্যান্ড এলাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ও উল্লেখ সংখ্যক বাসই হলো ঢাকা সিটির মধ্যে চলাচলকারী। আজমেরী গ্লোরী, মৌমিতা, ঠিকানা, সাভার পরিবহন, আলিফসহ আরও কিছু সিটি সার্ভিস। এছাড়াও রয়েছে ঢাকা-রংপুর ও ঢাকা-রাজশাহী কিছু লোকাল সার্ভিস। তবে মহাসড়কে দূরপাল্লার অন্যান্য কিছু বাসও চলছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল্লাহেল বাকী বলেন, মহাসড়ক একদম ফাঁকা তবে হাটিকুমরুল এলাকার ঢাকা রোডে অনেক গাড়ি যাত্রীর অপেক্ষায় আছে। এর বেশিরভাগই ঢাকা ফেরত বাস। তবে সড়কে খুব বেশি যাত্রী নেই বলেও জানান এই কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, ঈদ পরবর্তী ঢাকামুখি যাত্রীর যে চাপ অন্যান্য সময়ে থাকে আজ যেন তার পুরোই উল্টো। এছাড়াও আগামীকাল থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে। এছাড়াও এসকল বিষয় মাথায় রেখে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
কড্ডা এলাকা থেকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. আব্দুল গণি বলেন, মহাসড়ক একদম ফাঁকা। মাঝে মাঝে কিছু যানবাহন চলাচল করছে।