ঢাকাঃ ঈদকে সামনে রেখে করোনার মধ্যেই শেষ মুহূর্তে ঢাকার নবাবগঞ্জে জমে উঠেছে গরুর হাট। মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় ক্রেতারা আসছে দেরিতে। তবে ঈদের আগেই গরু কিনে বাড়ি ফেরার তাগিদে অনেকেই কিনছে গরু। পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ছোট গরু। বড় গরু পালন করে অনেক খামারিই বিপাকে। ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। হাটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। দেদারসে চলছে গরু কেনা-বেচা। তদারকির অভাবে নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই।
নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। তবে কাঙ্খিত দাম না পেয়ে অনেক বিক্রেতা সহজে গরু বিক্রি করছেন। আবার কেউ কেউ বিক্রি করছে। গরুর দামও উঠা নামা করছে।
হাটগুলোতে খামারীদের অনেকেই কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হতাশ। এসেছে ছোট বড় বিভিন্ন রকমের দেশী গরু। দাম ভালো না পাওয়ায় খামারীরা অখুশি হলেও খুশি ক্রেতা সাধারণ। তবুও বাধ্য হয়েই সাধ্যের মধ্যে কোরবানির পশু নিয়েই ঘরে ফিরছেন মানুষ। অনেকেই পায়ে হেঁটে হাটে এসেছেন গরু-ছাগলসহ কোরবানির পশু কিনতে।
গরু কিনতে আসা বারুয়াখালী হাটে আবুল হোসেন বলেন, গরুর দাম ভালো।আমি ছোট গরু কিনতে এসেছি। কিন্তু ছোট গরুর দাম বেশি।সকাল থেকে ঘুরতে ঘুরতে এখনো কিনতে পারি নাই।
কথা হয় গরু ব্যবসায়ী আবজাল হোসেনের সাথে তিনি জানান,কয়েক বছর করোনার কারনে গরু কিনে বিপাকে পড়েছি। গত বছরও লোকসানে ছিলাম। এইবার ১০ টা গরু কিনছি। একটাও বিক্রি করতে পারি নাই। যা দিয়া কিনছি তাও বলে না। কেমনে ঋণ শোধ করুম।
দুই দিনের থেমে থেমে বৃষ্টির কারনে হাটে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছে হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতারা। এ দিকে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে হাট। অনেকের মুখে নেই মাস্ক।
বড় গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। ছোট গরুর চাহিদা বেশি থাকায় বড় গরুর দাম কমছে। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। অপরদিকে ছোট বিক্রি করতে আসা বিক্রেতারা অনেকেই কাঙ্খিত দামেই বিক্রি করছেন গরু। বাড়ি থেকে গরু বিক্রি না করে অনেকেই এখন কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না।
বারুয়াখালী কোরবানির পশুর হাটের ইজারাদার রেজাউল করিম রাজু বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সার্বক্ষণিক মাইকিং করা হচ্ছে। আর আইমশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় নজরদারি করছে। হাটের প্রবেশের শুরুতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।