বরিশালঃ পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে বরিশাল নগরীসহ জেলার দশ উপজেলায় এবার ৪৮টি পশুর হাট বসেছে। প্রতিটি পশুর হাটে বাধ্যতামূলক করোনাকালিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন এবং সিটি কর্পোরেশন। বিশেষ করে হাটগুলোতে ইজারাদারদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সাথে হাটে প্রবেশ এবং বাহির হতে পৃথক গেট করার নির্দেশনার পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধদের হাটে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিটি কর্পোরেশন এবং জেলা পর্যায়ে কোরবানির পশুর হাটে রোগাক্রান্ত পশু শনাক্ত করণসহ সার্বিক বিষয়ে তদারকির জন্য ৩৮টি পৃথক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে শুধুমাত্র জেলার ৪৬টি হাটের জন্য থাকবে ৩৭টি টিম। শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার জানান, করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এবার শুধু নগরীর দক্ষিণ জনপদ রূপাতলী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর ঢালে এবং উত্তর জনপদে কাউনিয়া টেক্সটাইল এলাকার বটতলা নামকস্থানে একটি করে মোট দুটি হাটের ইজারা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ থেকে শুরু হওয়া হাটের কার্যক্রম আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এর বাহিরে নগরীর কাউনিয়া থানাধীন বাঘিয়ায় একটি স্থায়ী পশুর হাট বসবে।
অপরদিকে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারি পরিচালক আরাফাত হোসেন জানান, জেলার ১০ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে চাহিদা অনুযায়ী ৪৬টি পশুর হাট ইজারার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় চারটি, বাবুগঞ্জে আটটি, উজিরপুরে আটটি, বাকেরগঞ্জে পাঁচটি, গৌরনদীতে দুইটি, আগৈলঝাড়ায় দুইটি, মুলাদীতে দশটি, বানারীপাড়ায় একটি ও হিজলা উপজেলায় ছয়টি। তবে জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা থেকে কোন আবেদন না করায় সেখানে কোন অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সেখানে স্থায়ী তিনটি পশুর হাট রয়েছে।