মৌলভীবাজারঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্প পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
দিগন্তজুড়ে সবুজ উঁচু-নিচু টিলা, পাহাড়ের নান্দনিকতা, বনাঞ্চল পরিবেষ্টিত বিস্তৃর্ণ চা বাগান। সবুজের প্রাচুর্যের গালিচার ভাঁজে ভাঁজে গড়ে উঠেছে নিরাশ্রয় দরিদ্রের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্প।
গত ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনকালে শ্রীমঙ্গলের আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোর রূপ-সৌন্দর্য দেশবাসীর দৃষ্টি কাড়ে। অনেকে এই আশ্রায়ণ প্রকল্পের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্য পর্যটক আকর্ষণে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার হিসেবে দেখছেন।
শ্রীমঙ্গল আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের পেছনের অন্যতম রূপকার শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নজরুল ইসলাম জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আমার গ্রাম- আমার শহর ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোতে। স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এর দিক নির্দেশনায় এখানে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির পাশাপাশি আশ্রয়ণগুলোকে ঘিরে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, ইউডিসি, কমিউনিটি ক্লিনিক, বিদ্যালয়, হাট-বাজারসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা’।
তিনি বলেন, ‘দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্পের বিকাশে এই আশ্রয়ণগুলো নতুন উপযোগিতা সৃষ্টি করবে। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় এখানকার লেবু ও আনারস উৎপাদনে উপকারভোগীদের যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। স্থানীয় হস্তশিল্পে নারী উপকারভোগীদের প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফলে উপকারভোগীদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে। পাশাপাশি এই প্রকল্প কেন্দ্রীক পর্যটন শিল্প দেশের অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখতেও সক্ষম হবে’ বলে তিনি জানান।