বরিশালঃ বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে কমেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছেন বরিশাল জেলার বাসিন্দারা। যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫ হাজার ২৮৭ জন।
তথ্য নিশ্চিত করে শনিবার (১৭ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল বিভাগে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৬ জন। একই সময়ে ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে নতুন করে আরও ৯ জন ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও চারজন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে একজন বরিশালের, বরগুনার একজন ও ঝালকাঠির দুই জন। এনিয়ে বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভাইরাসটিতে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশাল জেলায় ১০৪ জন। এনিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৭৮৮ জনে। এরপর ভোলায় নতুন ৩৮ জন সহ মোট ২ হাজার ৫২৫ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ১০ জন সহ ৩ হাজার ১৩৭ জন,
ঝালকাঠিতে নতুন ৩ জন সহ মোট ৩ হাজার ২১৩ জন, বরগুনায় নতুন ১ জন সহ মোট ২ হাজার ১৫৬ জন এবং পিরোজপুরে নতুন শনাক্ত না হওয়ায় মোট ৩ হাজার ৪৬৮ জন। এর মধ্যে বিভাগে এ পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৭৫০ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আর টি পিসি আর ল্যাবে পাঠোনো হয়েছে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আরও ৪ জন রোগী মারা গেছেন। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪৬ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৬৫৩ জনের মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত নতুন করে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৫ জন ও করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩০ জনসহ মোট ৩৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৮৪ জন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৫৯ জন সহ মোট ২৫৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা মহামারির শুরুতে ২০২০ সালের ৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জ ফেরত পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার এক শ্রমিক বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্বপ্রথম আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন।