মাদারীপুরঃ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি দুইটিই ইতোমধ্যে চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু ঘাটে অপেক্ষায় রয়েছে শত শত কুরবানির পশুবাহী ট্রাক ও পন্যবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে পারের অপেক্ষায় ঘাটে এসে রয়েছে ট্রাকগুলো।
ফেরিতে পশুবাহী ট্রাক উঠে কম সংখ্যক কিন্তু বেশির ভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হচ্ছে অভিযোগ করেছে গরু ব্যবসায়ীরা। এদিকে ঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষার সময়ে তীব্র রোদ ও গরমে গরুগুলো অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। এছারাও যাত্রীদের চাপ সকাল থেকেই বেড়ে চলছে।
বাংলাবাজার ঘাটের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারাপারের অপেক্ষায় বাংলাবাজার ঘাটে আসে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পশুবাহী ট্রাক। পশুবাহী ট্রাকগুলোর পারাপার অগ্রাধিকার থাকলেও কর্তৃপক্ষ কম করছে। এদিকে তীব্র রোদ ও গরমে গরুগুলো অসুস্থ্য হলে ট্রাকে তাম্বুরা টাঙ্গিয়ে পাখা দিয়ে বাতাস করে ও পশুর মাথায় পানি ঢেলেও তোমন কোন কাজ হচ্ছে না। এছাড়া ঘাটটিতে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় লেগেই রয়েছে। ফেরিঘাটে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সসহ ঢাকাগামী ছোট যানবাহনের ভিড়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে কুরবানীর গরু ব্যবসায়ী, সাধারণ যাত্রীসহ অনেকেই বরাবরের মতোই উদাসীন ছিলো।
বাংলাবাজার ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘাট এলাকায় সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে গণপরিবহন চালু হওয়ার কারণে অনেকটাই ভোগান্তি কমেছে আগের থেকে। রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসছেন পরিবারের সবার সঙ্গে কোরবানির ঈদ কাটানের জন্য। তবে ঘাটে যাত্রীদের পাশাপাশি সকাল থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও গরুবাহী ট্রাকসহ পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে পন্যবাহী যানবাহন গুলো। সকাল থেকে ফেরিগুলোতে যাত্রীর চাপ কমেছে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কারণে। তবে লঞ্চগুলোতে নেওয়া হচ্ছে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী এতে প্রতি মুহূর্তেই উপেক্ষিত হতে হচ্ছে সরকারি বিধিনিষেধ আর স্বাস্থ্যবিধি।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, সকাল থেকে নৌরুটে চারটি রো রো ফেরিসহ ১২টি ফেরি চলাচল করছে। শিথিলের ঘোষণা আসার পর থেকেই ঘাটে কুরবানির পশুবাহী ট্রাকের চাপ শুরু হয়।
পাশাপাশি কাঁচামাল অন্যান্য পরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপও রয়েছে। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রী চাপও রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘাটে পশুবাহী ট্রাক, কাঁচামাল, এম্বুলেন্স ও লাশবাহী এ্যম্বুলেন্স আগে পারাপার করা হচ্ছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে নৌরুটের পদ্মা নদীতে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে পদ্মা পার হতে দেড় ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। এতে করে কমেছে ফেরির ট্রিপ।