কুড়িগ্রামঃ সদর উপজেলায় এক প্রতিবন্ধী যুবককে পিটিয়ে হত্যা এবং ওই যুবকের মা'কে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মােঃ কাজল খান কাশেম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৪ জুলাই) ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কাচিচদা গ্রামে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম জাহিদ হাসান(১৮) তিনি প্রতিবন্ধী বলে জানান এলাকাবাসী। এবং ওই ঘটনায় আহত জাহিদ হাসানের মা ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ , ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য অলিনা বেগম ( ৪৮)। এবং অভিযুক্ত কাশেম একই গ্রামের সাইফুল হকের ছেলে। কুডিগ্রাম সদর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল ৭ টার দিকে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর অলিনা বেগমের বাড়িতে এলাকার এক মহিলা ও তার মেয়ে ত্রাণ চাইতে আসেন। এরপর অলিনা বেগম এর বাড়ীর সামনে প্রতিবেশী কাশেমের বাড়ী সংলগ্ন রাস্তার উপর ত্রান নিতে আসা মহিলা ও তার মেয়ে সাথে অলিনা বেগমের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পূর্ব থেকে কাশেমের সাথে মেম্বার ছলিমার রাস্তা নিয়ে দন্দ ছিল । তাদের কথা-কাটাকাটি শুনে প্রতিবেশী কাশেম বাড়ী থেকে মনে করে অলিনা বেগম রাস্তার দ্বন্দের জের ধরে তাকে ও তার পরিবাররের লােকজনদের গালি দিচ্ছে।
এরপর কাশেম বাড়ী থেকে একটি ইউক্লিপটাস গাছে ডাল নিয়ে এসে অলিনা বেগমের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে অলিনা বেগমের মাথা, নাকে, পিঠে গুরুতর জখম হয়। এতে অলিনা বেগম মাটিতে পরে গেলে তাকে রক্ষার জন্য তার প্রতিবন্ধি ছেলে জাহিদ হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কাশেম তার হাতে থাকা ইউক্লিপসার্ট গাছের ডাল দিয়ে জাহিদ হাসানের মাথা , বুক,পিঠে এলােপাথারী মারপিট করে। মারপিটের আঘাত জাহিদের মাথার টিউমারে লেগে টিউমার ফেটে গুরুত্বর জখম হয়। স্থানীয় লােকজন ছলিমা ও তার ছেলে জাহিদকে নিয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের নিয়ে আসলে কয়েক ঘন্টা পর সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় জাহিদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। এবং গুরুতর আহত মহিলা কাউন্সিল অলিনা বেগম কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, ইতিমধ্যে মূল আসামী কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।