বরগুনাঃ বেতাগীতে রাত পোহালেই দেখা যায় লাল পোশাক পরা একদল তরুন-তরুণীকে। সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বের হয়েগেছে এমন মানুষদের দ্রুত বাসায় ফেরত যাওয়া, সঠিকভাবে মাক্স ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করতে উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তা করে আসছে তারা। বলছি যুব রেড ক্রিসেন্ট, বেতাগী উপজেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবকদের কথা।
গত বছরের মার্চে করোনার শুরুতে থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে কোভিড -১৯ প্রতিরোধে সচেতনতামুলক লিফট বিতরণ, মাইকিং, জীবাণু নাশক স্প্রে, শারীরিক দুরত্বের চিত্রা অংকন, পাড়া-মহল্লায় সচেতনতা ক্যাম্পেইন, হ্যান্ড সেনিটাইজার, সাবান ও মাস্ক বিতরণ এবং কোভিড-১৯ প্রতিরোধক টিকা কার্যক্রমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা দান করেছে।
এমনকি করোনা উপসর্গ ও আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের লাশ গোসল ও দাফন কাজে যখন স্বজন কিংবা প্রতিবেশীরা যখন এগিয়ে আসেনি,তখন এই স্বেচ্ছাসেবকরা সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে গোসল ও দাফন কাজ সম্পন্ন করে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সারা দেশের ন্যায় এ উপজেলা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় সরকারের ঘোষিত কঠোর লকডাউন কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে সকাল সন্ধ্যা জনসাধারণকে ঘরমুখী করতে স্থানীয়দের মাঝে আলোচনায় ঊঠে এসেছে এসব করোনা যোদ্ধা যুব রেড ক্রিসেন্টের উদীয়মান তরুণ সদস্যরা।
এসব মানবতার ফেরিওয়ালাদের হাজার সালাম জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে এ কাজ করায় তারা সমাজে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, এখানকার যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকির পাশাপাশি পরিবারের জীবনের ঝুঁকি জেনেও অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। প্রশাসনের পাশে থেকে সহযোগিতা করে প্রশংসনীয় ভ’মিকা পালন করছে।
সংগঠনের বেতাগী শাখার দলনেতা অলি আহমেদ বলেন, ‘মানবসেবাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আমরা চেষ্টা করছি সার্বক্ষণিক মানুষের পাশে দাঁড়াতে।