নোয়াখালীঃ জেলার সুবর্ণচরে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দুই সপ্তাহের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এই দুই সপ্তাহে সকল ধরনের গরুর হাট বাজার বন্ধে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
উপজেলার একাধিক বাজারে প্রশাসনের বিধি নিষেধ অমান্য করে গরুর হাট বসে। পরে চরজব্বার থানা পুলিশের উপপরিদর্শক সাজ্জাদ এর নেতৃত্বে টহল পুলিশ হাটে গেলে ক্রেতা বিক্রেতারা সটকে পড়েন। পুলিশের হস্তক্ষেপে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় মাঠে অনেককে গরু রেখে পালিয়ে যায় আড়ালে চলে যেতে দেখা যায়।
সোমবার দুপুরের দিকে চরজব্বার ডিগ্রী কলেজ মাঠে এ গরুর হাট বসে।
দুপুর দুইটার চরজব্বার ডিগ্রী কলেজ মাঠ পেরিয়ে চরজব্বার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, গরুগুলো মাঠে দড়ির সাথে বাধা। আশেপাশে কোন ক্রেতা বিক্রেতা দেখা যাইনি। গরু গুলো বেওয়ারিশ মাঠে পড়ে আছে।দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কোন মালিক পাওয়া যায়নি।
মাঠের দক্ষিণ পাশে রাস্তায় বাহার উদ্দিন নামে একপথচারী বলেন, ঈদের বাকী আর কয়েকদিন, এজন্য অনেক বিক্রেতা মাঠে গরু নিয়ে এসেছেন। ক্রেতাও ছিলো, কিছু গরু বিক্রিও হয়েছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে মাঠে বাঁধা গরু রেখে পালিয়েছে। পুলিশ স্কুলের নিচে অবস্থান করছে, পুলিশ চলে গেলে গরু নিয়ে যাবে।
বাহার উদ্দিন বলেন, তিনি নিজেও হাটের অবস্থা বুঝে কোরবানির জন্য গরু পছন্দ করবেন। এখন এসে না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক বলেন, বিধি নিষেধ সত্ত্বেও গরুর হাট বসেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশে একটি দল হাটে প্রবেশ করে হাট ভেঙ্গে দেয়া হয়।