নারায়ণগঞ্জঃ জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে জেলার আড়াইহাজারের নোয়াগাঁও এলাকার বাড়িটিতে অভিযানে চালিয়ে তিনটি শক্তিশালি বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা। ওই আস্তানা থেকে বোমা তৈরির উপাদান ও নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার ওই বাড়িতে অভিযান শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আড়াইহাজারের নোয়াগাঁও এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে আব্দুল্লাহ আল-মামুন ছাড়াও আরও এক জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার পরিচয় গোপন রাখা হয়।
সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ওই বাড়িতে পাওয়া তিনটি শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সোয়াট ও বম্ব ডিসপোজল ইউনিট। এছাড়া বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামা জব্দ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরের কাজীপাড়ায় আর একটি বাসা ঘিরে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সিটিটিসির বোমা উদ্ধার ও নিস্ক্রিয়করণ টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এ কে এম রহমত উল্লাহ জানান, জঙ্গিবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে স্থানীয় এক মসজিদের ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সেখানে অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তিনি নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য। মামুন আড়াইহাজারের একটি বাড়িতে থাকতেন এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, সেখানে তিনি আইএস অনুপ্রাণিত আইডি তৈরি করতেন।
রহমতুল্লাহ চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তার মামুন সাংগঠনিকভাবে ডেবিট কিনারা ওরফে আকিন আল বাঙালি নামে পরিচিত। তিনি ওই এলাকার একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করতেন এবং একটি এতিমখানাতেও কাজ করতেন।