বরগুনাঃ মহমারী করোনাকালীন মানুষের চরম সংকটের সময়েও বরগুনার বেতাগীতে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার।
যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। ফলে এর নেতিবাচক ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ডিলাররা বলছেন, বাড়তি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে খুচরা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডার এক হাজার ৫০ থেকে ১১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার সিলিন্ডার এলপি গ্যাসের একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করেন, ১০ দিন আগে ১২ কেজির ১টি সিলিন্ডার এলপি গ্যাস ৯২০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। সেই গ্যাস এখন ১ হাজার ৫০ থেকে ১১০০ টাকা দিয়ে কিনলাম। বিইআরসি নির্ধারিত দামের কোথাও গ্যাস বিক্রি হচ্ছে না। অথচ ভোক্তা পর্যায়ে সরকারিভাবে ৮ শত ৯১ টাকা বিক্রির নির্দেশনা রয়েছে কিন্ত বাজারে খুচরা পর্যায়ে ১ ৬০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো: আবুল বাসার অভিযোগ করেন, সরকার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। সে দামে গ্যাস মিলছে না। এখানে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা দিয়ে গ্যাস কিনতে হচ্ছে। দোকানিরা যে দামে বিক্রি করছেন, বাধ্য হয়ে সেই দামেই ক্রেতাদের গ্যাস কিনতে হচ্ছে। গ্যাসের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজর দেওয়া দরকার।
একাধিক খুচরা গ্যাস বিক্রেতা জানান, আমরা ডিলারের কাছ থেকে বসুন্ধারা ও যমুনা ১ হাজার এবং সেনা ১ হাজার ২০ টাকা দরে প্রতি সিলিন্ডার কিনছি। সিলিন্ডার প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা লাভে ১ হাজার ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আবার প্রত্যন্ত এলাকায় অনেক খুচরা দোকানি ৮০ থেকে ৯০ টাকা লাভ করে ১ হাজার ১০০ টাকায় সিলিন্ডার বিক্রি করছেন।
এ বিষয় বেতাগী পৌরসভার যমুনা এলপি গ্যাসের ডিলারের ম্যানেজার মো: রুহুল মিয়া বলেন, সরকার প্রতি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ৮৯১ টাকা নির্ধারণ করেছে। এটি আমরা গণমাধ্যমের খবরে শুনেছি। ডিলাররা আমাদের জনিয়েছেন আন্তজার্তিক বাজারে বাড়তি দামে গ্যাস কিনে আনতে হচ্ছে বলে তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন। সরকার নির্ধারিত দামে গ্যাস কিনতে পারলে, আমরাও নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কারো বেশি দামে বিক্রি করার কোন অধিকার নেই। এ ব্যাপারে অভিযান চালিয়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।