পীরগাছায় লকডাউন না মানায় ৩৫হাজার টাকা জরিমানা

একরামুল ইসলাম, পীরগাছা(রংপুর) প্রতিনিধি জুলাই ৮, ২০২১, ০৫:৫২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

রংপুরঃ জেলার পীরগাছায় চলমান লকডাউনে (১-৭ জুলাই) পর্যন্ত ব্যক্তি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে করোনার স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন না মানায় ৬৫ মামলায় ৩৫হাজার তিনশত টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১জুলাই থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। সারাদেশের ন্যায় রংপুরের পীরগাছায় চলছে ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন। সীমিত পরিসরে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা দেখা যায়।

লকডাউনে সরকারি কোন বিধিনিষেধ মানতে দেখা যায়নি। তবে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও লোকের গণজমায়েত কম ছিল। কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উম্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করার কথা থাকলেও অনেক স্থানের চিত্র দেখা গেল আগের মতই। মাস্ক ছাড়া চলছে নিজের ইচ্চেমতো। অনেকের কাছে মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে তারা নানা অজুহাত জুড়ে দেয়।

প্রশাসন থেকে সতর্ক হিসেবে মাইকিং করে জনসচেতনতার ঘোষণা দিলেও তা মানছে না কেউই। অনেকের কাছে মাস্ক থাকলেও মুখে না পরে কেউ কেউ থুতনিতে পরে আছে, আবার কারো ঝুলছে কানে, কেউ পকেটে রাখছে এমনকি হাতে রেখে চলাফেরা করছেন অনেকেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেকে তা কর্ণপাত করছেন না।

এদিকে লকডাউনের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ পরেছে চরম বিপাকে। তাদের দাবি এক সপ্তাহের খাবার দিয়ে লকডাউন দিলে তাদের কোন আপত্তি থাকবে না। কারণ লকডাউনে আমাদের আয়-উপার্জন কমে যায়। ঘরে বসে থেকে আমরা সংসার চালাবো কি করে?

সৈয়দ আলী নামে এক অটো চালক বলেন, সীমিত পরিসরে গাড়ি চললেও ভাড়া হচ্ছে না কারণ অনেকেই লকডাউনে বাড়ি থেকে বের হয় না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ শামসুল আরেফীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাত আরা ফেরদৌস ও পীরগাছা থানা ওসি আজিজুল ইসলাম উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রায় অভিযান চালান।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাত আরা ফেরদৌস বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে লকডাউনে দায়িত্ব পালন করছি। এবং জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছি। যাতে মানুষ করোনার স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে আরও সচেতন হয়। আর আমাদের জরিমানা করারটা মূখ্য ছিল না। আমাদের মূল বিষয় ছিল মানুষকে সচেতন করা। করোনার স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউন না মানার কারণে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে এ জরিমানা করা হয়।