মাদারীপুরঃ জেলার ডাসার ও কালকিনিতে পৃথক দুইটি ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করে বুধবার (৭ জুলাই) সকালে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে ডাসার থানার নবগ্রাম ইউনিয়নের দিলীপ তালুকদারের ছেলে দিপক তালুকদার (৩০) প্রতিবেশি এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ করার পরে পালিয়ে যায়।
পরিবার জানান, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে একাপেয়ে ওই কিশোরীকে মুখে কাপড় বেঁধে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে দিপক। ধষর্ণের শিকার কিশোরীর দুঃসম্পর্কের চাচা হয় অভিযুক্ত দিপক। এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে কিশোরীর বাবা দিপকের বাবার কাছে ও স্থানীয় গন্যমান্যদের কাছে বিচার দিয়েছিল। বিচার না পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বাবা বাদী হয়ে ডাসার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ডাসার থানা পুলিশ দিপককে আটক করতে সক্ষম হয়।
এ দিকে মঙ্গলবার বিকেলে কালকিনি থানায় এগারো বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় কালকিনি থানা পুলিশ নুরুল আফছার সাদ্দাম (৫৫) নামের এক জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত নুরুল আফছার চট্রগ্রাম জেলার বাশখালি থানার গুনাগাড়ি গ্রামের মৃতঃ আবুল খায়েরের ছেলে। অভিযুক্ত নুরুল আফছার সম্পর্কে ধর্ষণে শিকার শিশুর আপন ফুফা। সে বিয়ে করে এলাকায় বসবাস করছেন।
পুলিশ ও অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত মাসের ২৯ তারিখের সোমবার রাতে শিশুর বাবা তখন বাড়ি না থাকায় অভিযুক্ত ঘরে গিয়ে জোড় করে ধর্ষণ করে। শিশুটি একপর্যায় চিৎকার দিলে অভিযুক্ত নুরুল আফসার পালিয়ে যায়। মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে চেপে গিয়ে ছিলেন শিশুটির পরিবার। পরে কিশোরীর রক্তপাত শুরু হলে গোপনে অভিভাবকরা চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। মঙ্গলবার মেয়েটি অতিরিক্ত অসুস্থ হয়ে পড়তে প্রথমে কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে শিশুটির বাবা মঙ্গলবার বিকেলে কালকিনি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ পালাতক অবস্থায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. গোলাম মস্তফা রাসেল জানান, মামলা হওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হচ্ছে।