নারায়ণগঞ্জঃ জেলার সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় আল নূর পোপার মিলস লি: এর কারখানায় গ্যাসের রাইজারের লিকেজ থেকে আগুন লেগে চারজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনন্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- আসাদুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান, ফারুক মিয়া ও তৌহিদুল ইসলাম। দগ্ধ চারজনই পেপার মিলের নিরাপত্তা কর্মী বলে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সোমবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাত ২টায় কাচঁপুর আল নূর বিসিক শিল্প এলাকায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে ওই ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সোনারগাঁ স্টেশনের উপ-সহকারি পরিচালক তানহারুল ইসলাম জানান, রবিবার রাত একটার দিকে কারখানার ভেতরে গ্যাসের রাইজারে লিকেজ থেকে অগ্নিকান্ড ঘটে। এরপর নিরাপত্তা কর্মীরা এগিয়ে গেলে তাদের কয়েকজনের শরীরে আগুন লেগে যায় এবং চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গেলেও তার আগেই কারাখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। তবে রাইজারে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হঠাৎ করে আগুনের ঘটনা ঘটে। কি ভাবে হয়েছে তা জানেন না বলে আল নূর পোপার মিলস এর কর্মকর্তারা। তারা দগ্ধদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তিতাসের সোনারগাঁ জোনের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, অগ্নিকান্ডের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আহতরা হলেন, এম এম মোস্তাক আহমেদ(৪২) তিনি নড়াইল জেলার কালিয়া এলাকার এম এম মনিরুজ্জামানের ছেলে, আসাদুজ্জামান (৩২) তিনি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর এলাকার শমেস উদ্দিন আকন্দ’র ছেলে, মো. তফিজুল ইসলাম (৫৩) তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেছে, ফারুক হোসেন (৫২) তিনি কুমিল্লার মেঘনা এলাকার আ. মজিদ মাষ্টারের ছেলে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আরিফ হাওলাদার জানান, কাচঁপুর আল নূর এলাকায় গতকাল দিবাগত রাতে রোডের পাশে গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে অগ্নিকান্ড ঘটনা ঘটে। এতে আল নুর পেপার মিলের ৪জন নিরাপত্তারক্ষী দগ্ধহয়। ১জনের মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছে আর বাকি ৩জনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের প্রায় ১০ভাগের মতো পুরে গেছে। ঘটনাস্থলে ওসি স্যার পরিদর্শন করে গেছেন। এই ঘটনায় তদন্ত এখনো চলমান। যদি কোনো অনিয়ম বা অবহেলা থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।