কঠোর লকডাউনের চতুর্থদিন শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর

নারায়ণগঞ্জে নারীর মৃত্যু: আক্রান্ত ৯৫

রফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি জুলাই ৪, ২০২১, ১২:৫২ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

নারায়ণগঞ্জঃ শনিবার চতুর্থদিনে আইন শৃংখলাবাহিনী তৎপরতায় প্রধান প্রধান সড়ক গুলোতে যানবাহন ও মানুষের চলাচল কম থাকলেও পাড়া মহল্লায় কিছুটা বেড়েছে। প্রধান সড়ক গুলোতে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী বিজিবি রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, আনসার সদস্যসহ আইন শৃংখলাবাহিনীর কঠোর নজরধারি থাকলে পাড়া মহল্লায় তা ছিল না।  

সকাল থেকে হাল্কা বৃষ্টি থাকলেও গত তিনদিনের তুলনায় রিকসা অটো চলাচল বেশী ছিল। ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রীর দোকান ছাড়া সব ধরণের দোকান, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। চলাচল বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।

গত তিনদিনে নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত গুলো দুইশতাধিক মামলার মাধ্যমে প্রায় তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

লকডাউনে শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি টিমে ১৫ জন সদস্য করে সেনাবাহিনীর পাঁচটি টিম, ৩ প্ল্যাটুন বিজিবি ও জেলা প্রশাসনের ২০ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ২০টি ব্রাম্যমান আদালত এবং পুলিশের ৩১টি টিম বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছেন।

বিধিনিষেধ কার্যকর ও বিধিনিষেধের আওতামুক্ত কোন যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না এবং কেউ বের হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান নহরীর চাষাঢ়া এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে নারায়ণগঞ্জে বিগত ২ দিন সংক্রমণ কম থাকলেও আবার সর্বোচ্চ আক্রান্তে রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। এই নিয়ে জেলায় মোট ১৪ হাজার ৩শ’৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, ২৪ ঘন্টায় আরও এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ যাবৎ মোট ২শ’২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তবে এই সংখ্যা বেসরকারী ভাবে আরো বেশী।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রতিবেদনে রবিবার (৪ জুলাই) সকালে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

৩ জুলাই থেকে ৪ জুলাই সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নারায়ণগঞ্জে ৪০৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৯শ’২৫জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নতুন করে আড়াইহাজারে ৩ জন, বন্দরে ৭ জন, এনসিসি এলাকায় ৪১ জন, রূপগঞ্জে ১৩ জন, সদর উপজেলায় ৩০ জন, সোনারগাঁও এলাকায় ১জন আক্রান্ত হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ যাবৎ আড়াইহাজারে আক্রান্ত ৯শ’৫০ জন ও মারা গেছেন ৪ জন। বন্দর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯শ’৮৩ ও মারা গেছেন ৯ জন। এনসিসি এলাকায় মারা গেছেন ১শ’১৫জন ও আক্রান্ত ৫ হাজার ৪শ’২২জন। রূপগঞ্জে মারা গেছেন ১৪ জন ও আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬শ’৬২জন। অন্যদিকে সদর উপজেলায় মারা গেছেন ৪৪ জন ও আক্রান্ত ২ হাজার ৯শ’২৫ জন এবং সোনারগাঁয়ে আক্রান্ত ১ হাজার ৩শ’৯৮জন ও মারা গেছেন ৩৮ জন।