মানিকগঞ্জঃ জেলার হরিরামপুরে পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে নির্মিত তীর রক্ষা বাঁধের কিছু অংশে ধ্বস নেমেছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর থেকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙন এবং স্থানীয় জেলেদের কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে হুমকির মুখে পড়েছে বাঁধ। এতে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় হাজারও লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নদীভাঙন রোধে ২০১৬ সালে ফ্লাড অ্যাÐ রিভার ব্যাংক ইরোশন রিক্স ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টম্যান প্রোগ্রাম (প্রথম পর্যায়) এর আওতায় নির্মিত হয় ৯ কিলোমিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধ।
সরেজমিনে বয়ড়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক, খালপাড় বয়ড়া, দাশকান্দি বয়ড়া, দড়িকান্দি, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বকচর, আলগীরচর, হারুকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদপুর, হারুকান্দি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদী ভাঙনে বাঁধের বিভিন্ন অংশে ধ্বস নেমেছে। এছাড়াও, বাঁধের বিভিন্ন অংশে বালুভর্তি জিও ব্যাগের মধ্যে বাঁশের খুঁটি পুঁতে চায়না দোয়ারি (জাল), দেশীয় দোয়ারি পেতেছেন জেলেরা। এছাড়াও অনেক জেলে জিওব্যাগে বাঁশ পুঁতে ভেশালও দিয়েছেন। জেলেদের এমন কাজ ও নদী ভাঙনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বাঁধ।
উপজেলার এম এ রাজ্জাক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিমল সরকার বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে পদ্মাপাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে জেলেরা জিও ব্যাগে বাঁশ পুতে চায়না জাল ও দোয়ারি পেতে রাখতে দেখেছি। পদ্মা ভাঙন রোধের জন্য জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জেলেদের কারণে বাধঁ হুমকির মুখে।”
আন্ধারমানিক ট্রলার ঘাটের মাঝি হাশেমও জানান, বাঁধের জিও ব্যাগে বাঁশের খুঁটি পুঁতে চায়না দোয়ারি (জাল), সাধারণ দোয়ারি ও ভেশাল দেয়ায় বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
বয়রা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার ও হারুকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান চুন্নু বলেন, বাঁধের বস্তায় খুঁটি পুঁতে চায়না দোয়ারি এবং ভেশাল দেয়ায় বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বার বার জেলেদের নিষেধ করার পরেও তারা শুনছেন না। উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলেও জানান তারা।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বাঁধের জিও ব্যাগে বাঁশের খুঁটি পুঁতে জাল বেঁধে রেখে মৎস্য শিকারীরা মাছ ধরছে এমন খবর জেনেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে এ ব্যাপারে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।