বগুড়াঃ ৫০ বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে রাস্তা পাড়ি দিতে পোহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ। বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে দূর্ভোগ লাঘবের আশায়। কিন্তু আশার মুখ আলো দেখে না কখনও। তবুও আশার হাল ছাড়ছেন না ফুটানিগঞ্জের প্রায় তিন হাজার মানুষ। লাগাতার বৃষ্টির দরুন কর্দমাক্ত রাস্তায় নাজেহাল হয়ে ধানের চারা রোপণ করে দুর্দশা লাঘবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগীরা।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ফুটানিগঞ্জ গ্রামের বেশির ভাগ লোকজন তাঁতশিল্পের সাথে জড়িত। তাঁতশিল্পে উৎপাদিত পণ্য হাট-বাজারে পরিবহনের একমাত্র ওই রাস্তা পায়ে হেঁটে চলারও অযোগ্য।
রাস্তাটি ফুটানিগঞ্জ গ্রাম থেকে উৎপত্তি হয়ে ধারশুন গ্রাম পেরিয়ে চৌমূহনীবাজারের বাবুরবাগান এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ আন্ত:জেলা সড়কে সংযুক্ত হয়েছে। ওই রাস্তা ধারশুন-ফুটানিগঞ্জ রাস্তা নামেই পরিচিত। তবে বাবুরবাগান হতে ধারশুন পর্যন্ত রাস্তা কয়েকবছর আগে কার্পেটিং হয়েছে। আর মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরনের অভাবে ৫০ বছর ধরে দূর্ভোগে নিপতিত হয়ে আছে ফুটানিগঞ্জের লোকজন।
তাঁতশিল্পের সাথে জড়িত ফুটানিগঞ্জের কারিগররা আগামী নিউজ কে জানায়, প্রায় প্রত্যেক বছর শোনা যায় রাস্তাটি পাকা হবে। নির্বাচনের সময়ে সংসদ সদস্যসহ অনেক স্থানীয় প্রতিনিধি দুর্দশা লাঘবে রাস্তাটি পাকাকরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নির্বাচিত হয়ে আর কেউ খোঁজখবর রাখেনি তাদের।
স্থানীয় গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন হেলাল আগামী নিউজ কে জানায়, ধারশুন- ফুটানিগঞ্জ রাস্তাটি পাকাকরনের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে বার বার ধর্না দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাস্তার প্রকল্প ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী তে রাস্তা পাকা হবে।কিন্তু তা আর বাস্তবায়িত হয়নি।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল আলম বলেন, দুর্দশা লাঘবে রাস্তাটি নতুনভাবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে স্কিম তৈরি করা হয়েছে। ১ কোটি ৪ লাখ টাকার প্রাক্কালিন স্কিম তৈরি করে তা ১৬ জুন তারিখে অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরন করা হয়েছে। অনুমোদিত হলে দরপত্র আহবান পূর্বক ঠিকাদার নির্বাচন করে রাস্তা পাকাকরনের কাজ শুরু হবে।