টানা বৃষ্টি বর্ষণে কুমিল্লার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত

গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, কুমিল্লা প্রতিনিধি জুলাই ১, ২০২১, ০৬:০৫ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

কুমিল্লাঃ টানা বর্ষার প্রবাহে প্রাণ ফিরে পেয়েছে গোমতী। ভরা যৌবনে গোমতী নদীর সৌন্দর্য যেন উপচে পড়ছে।আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর, চাঁনপুর, পালপাড়ার আলেখাচর গোমতীপাড়ে গিয়ে দেখা যায় গোমতীর সৌন্দর্য। নতুন পানিতে সারা নদী থৈ থৈ করছে।

কুমিল্লায় সর্বোচ্চ ১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে কুমিল্লা নগরীরে বিভিন্নস্থানে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নগর জনজীবন। বুধবার (৩০জুন) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। ।আবার বৃহস্পতিবার  সকাল পর্যন্ত  এই অতি ভারী বর্ষণের রেকর্ড করা হয়। জুলাইর শুরু থেকেই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে বেড়েছে জেলার নদ-নদীর পানি। বৃষ্টি এবং সীমান্তবর্তী ভারতের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার গোমতীসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় গোমতীর চরাঞ্চলের বাসিন্দারা বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোমতীতে তীব্র স্রোত বয়ে যাচ্ছে। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে পানি। বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কয়েকদিনের অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে চরাঞ্চলের অধিকাংশ আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে গোমতীতে পানি বেড়ে যাওয়া এবং স্রোতের কারণে বিভিন্ন উপজেলায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। অপরদিকে,  মাছ ধরার নেশায়  নৌকা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে মৎস্য শিকারীরা।কেউ কেউ আবার পানিতে ভেসে আসা গাছের লাড়কি কুড়াতে ব্যস্ত। চরের বালুবাহী ট্রলারগুলো ঘাটে বাঁধা। একদল শিশু- কিশোরকে দেখা গেলো নদীতে গোসল করতে এ যেনো নতুন পানি দেখে আনন্দে মেতে ওঠা । করোনায় স্কুল বন্ধ, তাই সবাই মিলে এসছে গোমতী নদীতে গোসল করতে। নদীতে অতি স্রোত সেদিকে কারো খেয়াল নেই। ট্রলারের উপর থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়ছে।স্রোতের টানে কিছুটা সামনে চলে যায়। তারপর সাতরিয়ে ফিরে আসে পাড়ে। আবারো ঝাঁপ দেয়। এভাবেই শিশু-কিশোররা মিতালী করছে গোমতীর সাথে। গোমতী নদীর পানি পেয়ে উজান থেকে মাছ আসা শুরু করেছে। সে মাছ কারেন্ট জাল ও বরশি পেতে শিকারে ব্যস্ত একদল শিকারী।