গাইবান্ধাঃ জেলার পলাশবাড়ীতে নিজের বিয়ের কেনাকাটা করতে গিয়ে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার ৩ দিনেও সন্ধান না পেয়ে চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্বজনরা। পরিবারের দাবী তাকে অপহরণ করা হয়েছে। প্রতিটি মূহুর্তে অজানা আশংকায় স্বজনরা শংকিত হয়ে পড়ছেন।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের ছেলে সোনালী ব্যাংক পলাশবাড়ী শাখায় কর্মরত সিনিয়র অফিসার আবু সুফিয়ান গত ২৪ জুন সন্ধ্যায় নিজের বিয়ের কেনাকাটা করতে পাশর্^বর্তী উপজেলা গোবিন্দগঞ্জে গিয়ে নিখোঁজ হন। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা ৪১ মিনিটে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার ভাগিনা মো. জাহিদুর রহমানের সাথে সর্বশেষ কথা হয়। এরপর থেকেই তাকে ফোনে আর পাওয়া যায়নি এবং এখনও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরিবারের ধারণা তাকে কেউ পরিকল্পিতভাবে তাঁকে অপহরণ করেছে। এ বিষয়ে নিখোঁজ সুফিয়ানের ভগ্নিপতি পলাশবাড়ী পৌর এলাকার বাসিন্দা জাহিদুর রহমান ২৫ জুন পলাশবাড়ী থানা একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন।
সরেজমিনে প্রতিবেদন তৈরী করতে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সুফিয়ানের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বললে তাঁর বৃদ্ধ পিতা অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম জানান, বৃদ্ধ বয়সে ওই ছেলেই আমার একমাত্র অবলম্বন। অসহায়ের মত আমার ছেলের সন্ধান পাওয়ার অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
নিখোঁজ আবু সুফিয়ানের বড় বোন স্কুল শিক্ষিকা মাহমুদা বেগম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি জানান, আমাদের পরিবারের সবচেয়ে আদরের ছোট ছেলে সে। গত ৩ দিন যাবত নিখোঁজ থাকায় আমরা চরম উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছি। আদরের ছোট ভাই নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সুফিয়ানকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, সাধ্যমত চেষ্টা করছি আমরা। ইতোমধ্যেই নিখোঁজ সুফিয়ানকে উদ্ধারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।