নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৭

মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি জুন ২৭, ২০২১, ১০:৪০ এএম
ছবি : আগামী নিউজ

নোয়াখালীঃ জেলার কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়েছে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চরএলাহী ঘাট সংলগ্ন সিরাজ মেম্বারের দোকানের সামনে কাদের মির্জা অনুসারী ও উপজেলা আ’লীগ অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উপজেলা আ’লীগ অনুসারী রাজু (৩৫),সাহেদ (৩২),আবদুর রহীম (২৫) আহত হয়। তারা বর্তমানে নোয়াখালী সদরের উডল্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। অপরদিকে কাদের মির্জা অনুসারী কামাল (৪৫),রুবেল (২৫) পিটন (২২) সবুজ (৪০) আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.ছায়েদ একটি অস্ত্র মামলার তদন্তে চরএলাহী ঘাটে যায়। ওই সময় উপজেলা আ’লীগ অনুসারী স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের ভাই খোকনের সাথে কাদের মির্জা অনুসারী কামালের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা বেধে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দুই জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ চলে এলে বাকবিতন্ডার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষে ৭জন আহত হয়।

উপজেলা আ’লীগ অনুসারী স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান বলেন, কাদের মির্জার অনুসারী হেলাল মেম্বার, বাহার, আনোয়ার, রাজ্জাকের নেতৃত্বে অসহায় তিনটি ছেলেকে একা পেয়ে বেধড়ক পিটিয়ে হা-পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা চরএলাহীতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কোন সংঘর্ষে জড়ায়নি।

কাদের মির্জার অনুসারী হেলাল হোসেন মেম্বার বলেন,রাজ্জাক চেয়ারম্যানের ভাই খোকনের নেতৃত্বে তাদের ৪ অনুসারীকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এ সময় ফাঁকা গুলি ছোড়ার আওয়াজ পেয়ে আমরা কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সংঘর্ষ এড়াতে বাড়িতে চলে যাই।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে