ফরিদপুরঃ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও পাঁচজন মারা গেছেন। একই সময়ে ১৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৫৬ দশমিক ৭০ শতাংশ। জেলায় কয়েক দিন ধরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।
আজ শুক্রবার জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ফরিদপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন করোনায় এবং অপর তিনজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
তাঁদের মধ্যে করোনায় মারা গেছেন ফরিদপুর শহরের রথখোলা মহল্লার বাসিন্দা নারায়ণ ভট্টাচার্য (৮০) ও ভাঙ্গা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের নূরুদ্দিন খান (৭৫)।
এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ফরিদপুর সদরের গজারিয়া এলাকার হান্নান মোল্লা (৪৭), ভাঙ্গার মাহবুবুর রহমান (৫৮) ও রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জয়নাল শেখ (১০০)। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় ২১১ জন মারা গেছেন।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুর রহমান জানান, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১২০ রোগী চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন আইসিইউতে এবং ১০৫ জন করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৯ জন।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিভাগের সব কটি জেলার করোনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়রদের সঙ্গে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে সংলাপ করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা তানজিব জুবায়ের।
চিকিৎসা কর্মকর্তা তানজিব জুবায়ের বলেন, ওই সভার শুরুতে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি তুলে ধরেন আইইডিসিআরের পরিচালক তাহমিনা শিরীন। তাঁর প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে সংক্রমণের হার ফরিদপুরে বেশি। এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে।