ফুলবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে হইহট্টগোল ও ক্ষোভ প্রকাশ

জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি জুন ২৪, ২০২১, ০৫:১৪ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
কুড়িগ্রামঃ জেলার ফুলবাড়ীতে  মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ে  ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় সাক্ষাৎকার স্থলে হইহট্টগোল ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্তির জন্য আবেদনকারীরা।
 
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃক অনুমোদিত ক শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। এতে কিছু মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করলেও অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষাৎকার প্রধান থেকে বিরত থেকে অন্যান্য সাক্ষাৎকার প্রদানে আগ্রহীদের বাধা দান করে।
 
এসময় তারা সাক্ষাৎকারের স্থলে ক্ষোভ প্রকাশ এবং হট্টগোল করেন এবং যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ প্রদান করেন। তাদের লিখিত অভিযোগে জানা যায় বিগত ২৯ এপ্রিল ২০১৭ সালে ‘মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মজিবুর রহমান ছিলেন। সে সময় যাচাই-বাছাইয়ে এসব মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা অন্তর্ভুক্তিকে ছয় সদস্য সম্মতি দিয়ে স্বাক্ষর করলেও মজিবর রহমান অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। অভিযোগে আর জানা আজ ২৪ জুন সাক্ষাৎকার কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সদস্যসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ আব্দুল জলিল সদস্য ও সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মজিবর রহমান সভাপতি।
 
সাক্ষাৎ প্রার্থীরা আশঙ্কা করেন তিনি এর আগে যাচাই-বাছাইয়ের মুক্তিযোদ্ধাদের কালীকান্ত প্রতীকে বিরোধিতা করে কিভাবে আবার নতুন কমিটি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ফলে তারা ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করে প্রকাশ করেন এবং সাক্ষাৎকার প্রদান তাকে বিরত থাকেন। অভিযোগপত্রে তারা বর্তমান বাছাই কমিটির সভাপতি পরিবর্তন করে একজন নিরপেক্ষ মুক্তিযোদ্ধা কে দায়িত্ব প্রদান করে যাচাই-বাছাই চালু করার জন্য তার কাছে দাবি জানান তত্ত্বাবধায়কও সময়ের আবেদন করেন।
 
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বর্তমান যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, পূর্বের কমিটিতে আমাকে পাশ কাটিয়ে মিটিং রেজুলেশন করা হয়েছে তাই আমি ওই তালিকায় স্বাক্ষর করি নাই। এখন বিধি মোতাবেক সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হচ্ছে যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের তালিকা জামুকায়  পেলেন করা হবে।
 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি জনাব সুমন দাস জানান, যারা যাচাই-বাছাই অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিষয়টি ও যারা অভিযোগ করেছে বইয়ের বিষয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।