আয়লা পাতাকাটা ইউপি নির্বাচনে ভােট চুরির অভিযােগে সংবাদ সম্মেলন
বরগুনা প্রতিনিধি
জুন ২৪, ২০২১, ০২:১৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বরগুনাঃ সদরের ৫ নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে ফলাফল পরিবর্তন এবং ভোট কারচুপি অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম. মজিবুল হক কিসলু।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ২১ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫ নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দি নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মােঃ মােশাররফ হােসেন ঘোরা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। মােশাররফ হােসেন বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মােঃ দেলােয়ার হােসেনের ছােট ভাই।
কিসলু বলেন, আমি জনগনের ভােটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। ৯ টি ভােট কেন্দ্রের ফলাফলে আমি বিজয়ী। রাত ১০ টার দিকে স্বতন্ত্র মােশাররফ হােসেনের বড় ভাই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মােঃ দেলােয়ার হােসেন ৯ নং পূর্ব কেওড়াবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার মােঃ জাকারিয়া হােসেনকে বাধ্য করে ফলাফল হেরফের করে যা কাম্য ছিল না।
ওই ভােট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী মােঃ মােশাররফ ঘােড়া মার্কায় ভােট পেয়েছে ১ হাজার ৯ ভােট। কেন্দ্রের ফলাফলে প্রিজাইডিং অফিসার কাটা ছেড়া করে আমার পােলিং এজেন্ট জালাল পহলানকে দেয়া প্রাপ্ত ফলাফলে আমি ২৩৭ ভােট বেশী পেয়ে বিজয়ী হই। স্বতন্ত্র প্রার্থী মােশাররফ হােসেন এর আপন বড় ভাই দেলােয়ার হােসেন ২১ জুন রাতে ৯ নং পূর্ব কেওড়াবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ভােট কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসারকে বাধ্য করে ঘােড়া মার্কায় ১১ শত ৯ ভােট দেখায়।
৮ নং পূর্ব কেওড়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার মাওলানা মােঃ মিজানুর রহমান অধ্যক্ষ চরকগাছিয়া ফাজিল মাদ্রাসা আমার নৌকা মার্কার ভােট ঘােড়া মার্কায় যােগ করে ২৫০ ভােট দেখায়। অথচ ঘােড়া মার্কায় ভােট পেয়েছে ১০০ ভােট। তারপরও আমি ৩৯০৮ ভােট পেয়ে বিজয়ী হয়েছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী মােঃ মােশাররফ হােসেন পেয়েছে ৩৬৭১ ভােট। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মােঃ দেলােয়ার হােসেন বরগুনা উপজেলা পরিষদের হল রুমে বসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিয়া শারমিন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ফলাফল পরিবর্তন করে আমার বিজয় ছিনিয়ে নেয়।
এছাড়াও শান্তিপ্রিয় নৌকা মার্কার কর্মী সমর্থকদের উপর অত্যাচার করে ঘর বাড়ী ভাংচুর করে। দোকান ঘর লুটপাট করে। মােশাররফ বাহিনীর ভয়ে এলাকার নৌকার কর্মীরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়ায়। ২১ জুন মধ্য রাত হতে মােশাররফ বন্ড নামে খ্যাত আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে যে ভাবে তান্ডব চালায় তা বিশ্ব বিবেক হতৰাগ। সত্তার নামে এক মুসুল্লীকে মসজিদে সেজদারত অবস্থায় কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এখন বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি আছে। ইদ্রিসকে মসজিদের মধ্যে পিটাইয়া হাত পা থেতলে দেয়। দুলু বেগম নামের এক মহিলাকে নৌকা করার অপরাধে মারধর করে।
নান্টুর বােনের বাড়িতে বুধবার গভীর রাতে ঘুমান্ত নারীদের উপর হামলা করে ভাংচুর করে। এ সব ঘটনার প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দেয় বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলােয়ার হােসেন। নির্বাচনের আগে এবং পরে তাদের হামলায় এ পর্যন্ত আমার প্রায় দুই হাজার কর্মী ও সমর্থককে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে যখম করেছে। শতাধীক মটরসাইকেল ভেঙেছে। দুই শতাধীক বসতঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে।
আমাদের ইউনিয়নের নৌকার কর্মী সমর্থক শান্তিতে থাকতে চায়। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।