মানিকগঞ্জঃ সাংবাদিকদের সাথে অসদাচারণ ও নিবন্ধনবিহীন কথিত ভূঁইফোড় সাংবাদিকদের দিয়ে মূলধারার সাংবাদিকদের নামে অপপ্রচার করায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুনা লায়লার ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বুধবার (২৩ জুন) দুপুর ২টায় সিংগাইর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সিংগাইর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির প্রতিনিধি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি মাসুম বাদশাহর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি মো.সোহরাব হোসেন, মাইটিভি প্রতিনিধি মো. বাদল হোসাইন, যুগান্তর প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বাদল, সাপ্তাহিক সময়ের সাথে পত্রিকার সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মানবজমিন প্রতিনিধি মো. আতাউর রহমান, প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিনিধি মো.রকিবুল হাসান বিশ্বাস, দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি অ্যাড. মশিউর রহমান শামীম, আমাদের নতুন সময় প্রতিনিধি মোস্তাক আহম্মেদ, সমকালের কমির্শিয়াল স্টাফ ও দৈনিক বর্তমান প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী রিপন, বাংলা টিভি প্রতিনিধি রিয়াজুল ইসলাম, ভোরের পাতা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান, আজকালের খবর প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন, বলাকা টিভি প্রতিনিধি আব্দুল গফুর, সময় বাংলা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবু সায়েম, এশিয়ান টিভি প্রতিনিধি ইমরান হোসাইন ও আমার সংবাদ প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান রাজিব প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, ৩৩৩-এর জরুরি খাদ্য সহায়তা ইউএনও রুনা লায়লা নিজ হেফাজতে রেখে নষ্ট করা নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তথ্য বহুল, বস্তুনিষ্ঠ সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই সংবাদকে মিথ্যা দাবি করে বিভিন্ন অপব্যাখ্যা দিয়ে “উপজেলা প্রশাসন সিংগাইর” ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচার চালান ইউএনও।
পাশাপাশি নাম সর্বস্ব নিবন্ধনবিহীন অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুকে কতিপয় ভূঁইফোড় কথিত সাংবাদিকদের ব্যবহার করে দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাও করেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সময় তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ করায় মূলধারার একাধিক সাংবাদিককে তার অফিসে ডেকে নিয়ে অপমান করেন বলেও সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন।
তারা আরও বলেন, উপজেলার ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা অব্যাহত ও অবৈধ ইট ভাটা চালু রাখার জন্য ওই অফিসের উদ্যোক্তা শেখ মিজানের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে ইউএনও’র বিরুদ্ধে। ওই অফিসের দুর্নীতির পাইপ লাইন উদ্যোক্তা শেখ মিজানসহ ইউএনও রুনা লায়লাকে দ্রুত অপসারণ না করা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের ইতিবাচক সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা। অন্যথায় আগামীতে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারিও দেন তারা।