খাগড়াছড়িঃ কৃষি প্রধান বাংলাদেশের কৃষকদের ফসল ফলানোর মুল হাতিয়ার হচ্ছে রাসায়নিক এবং জৈব সার। সারা বাংলাদেশে লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলার এবং সাব-ডিলারের মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী সকল জেলা ও উপজেলাতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সার সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার লুৎফুর রহমান অপু ও রিংকু পাল সহ কিছু সার ব্যাবসায়ীরা ডিলার থেকে সার সংগ্রহ না করে অবৈধ ভাবে রাতের আধারে ফটিকছড়ি, নাজির হাট, হাটহাজারি চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে কম দামে ভেজাল সার ক্রয় করে নিয়ে আসছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকেরা এই সার ব্যবহার করে পাচ্ছে না ভালো ফলন। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতেও।
২২জুন মঙ্গলবার এবং ২৩ জুন বুধবার সকালে আবার ও অবৈধ ভাবে হাটহাজারি থেকে সার নিয়ে আসে গুইমারা বাজারের সার ব্যাবসায়ী লুৎফুর রহমান অপু। চাঁদের গাড়ি করে সার এনে আনলোড করার সময় খাগড়াছড়ি জেলা ও স্থানীয় সাংবাদিকের চোখে পড়ে। সার আমদানির বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে বললে তারা সাংবাদিককে সারের বৈধ কোনো কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি।
পরে ব্যবসায়ি লুৎফুর রহমান অপু সাংবাদিকদের বলেন, ডিলার আমাদের থেকে নির্ধারিত মুল্যের চাইতে বেশি দাম নেয় এবং চাহিদা অনুযায়ী সার প্রদান করতে পারে না। যার ফলে আমরা অন্যস্থান থেকে কম দাবে এবং চাহিদামত সার সংগ্রহ করে থাকি।
গুইমারা বাজারের ডিলার হাজী আব্দুল লতিফের ছেলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সার যদি তাদের প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের অবগত করবে। তারা তা না করে বাহির থেকে সার সংগ্রহ করছে। আর আমরা সরকারী নির্ধারনকৃত সারের মুল্যের চাইতে বেশি দাম নেই না। তারা মিথ্যা অযুহাতে বাহির থেকে সার ক্রয় করে এনে বিক্রি করছে। এই বিষয়ে কোনো কথা বললে অপু হুমকি দিয়ে থাকে।
গুইমারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অংকার বিশ্বাস (অ:দা:) এর সাথে অবৈধ ভাবে সার আমদানির ব্যাপারে জানতে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গুইমারা উপজেলার ২টি ইউনিয়নে মোট ২জন ডিলার রয়েছে। কোনো সাব-ডিলারের যদি সার প্রয়োজন হয় তাহলে লাইসেন্স প্রাপ্ত ডিলারদের নিকট থেকেই নিতে হবে। ডিলার যদি সার দিতে না পারে তাহলে কৃষি কর্মকর্তাদের জানাবে। তবে সাব-ডিলাররা অন্য কোথাও থেকে সার সংগ্রহ করতে পাড়বে না, এটা অবৈধ।