যশোরঃ এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার বিকেল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পুনরায় পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। এর আগে বেনাপোল বন্দরে পাথর রফতানি বন্ধ থাকায় ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ট্রাক শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখে। এর ফলে সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোন পণ্য ভারত থেকে আসেনি এবং ভারতে যায়নি। পরে ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে সমঝোতা হলে বিকাল ৫টা থেকে আমদানি-রফতানি পুনরায় শুরু হয়।
তাদের দাবি বেনাপোলে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রায় এক হাজার পাথর বাহী ট্রাক আটকা পড়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ভারত থেকে যে সমস্ত পাথরের গাড়ি (ট্রাক) আমদানি হয়ে আসে সে গুলি বন্দরের বাইরে আনলোড হতো। পাথর আনলোড করার সময় ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার, হেলপাররা স্বাস্থ্য বিধি না মেনে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। ভারতে করোনার প্রভাব বেশী হওয়ায় ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার হেলপারদের মাধ্যমে করোনার ভ্যারিয়েন্ট এসব এলাকায় ছড়াতে পারে। এ কারনে পাথরের গাড়ি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশে বাধা সৃস্টি করা হচ্ছিল কাস্টমস ও বন্দর কতৃপক্ষের কারণে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে করোনার এই মুহুর্তে বন্দরের বাইরে কোন পাথর রাখা যাবে না। বন্দর কর্তৃপক্ষ পাথর রাখার জায়গা তৈরি করে পাথর আমদানি করতে হবে।
এ ছাড়াও বেনাপোল পৌর ট্রাক টার্মিনাল ও বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশনের ট্রাক প্রতি ১০০ টাকার চাঁদা নেয়ার প্রতিবাদ করে আসছিল ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এসব কারনে গত বুধবার (১৬ জুন) থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পাথর ছাড়া অন্যান্য মালামাল আমদানি-রফতানি চলছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে অন্যান্য মালামাল আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার আগামী নিউজকে জানান, বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটের কারনে ভারত থেকে আমদানি করা পাথর বন্দর এলাকার পাশে আমদানিকারকের নিজস্ব জায়গায় আনলোড করা হচ্ছিল। ভারতীয় ড্রাইভার হেলপারদের মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে এজন্য এখন থেকে বন্দর এলাকা হতে ভারতীয় পাথর বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশী ড্রাইভাররা নিয়ে আমদানিকারকের জায়গায় আনলোড করবে এ শর্তে পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ভারত থেকে ১০০ হতে ১২০ ট্রাক পাথর বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়ে থাকে।