সৈয়দপুরঃ রেলওয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের একাংশের বিরুদ্ধে সোমবার দুপুরে সৈয়দপুরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন হয় শহরের আদিবা কনভেনশন হলরুমে। এতে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, রেলওয়ের ভূমি ও রেলকোয়াটার দখলকে ঘিরে রেল-কর্তৃপক্ষের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে গত ১৯ জুন দৈনিক যুগান্তরে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা আমার ও দলের নেতাকর্মীদের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় আমরাসহ সৈয়দপুরবাসী বিস্মিত হয়েছি।
কারণ আমার বিরুদ্ধে রেলওয়ের ভূমি দখল করে শামসুল হক মেমোরিয়াল একাডেমি এবং পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠার অভিযোগ আনা হয়েছে যা পুরোপুরি মিথ্যা। তিনি বলেন, আমার জন্মের ১৩ বছর আগে সৈয়দপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। যার প্রতিষ্ঠার বছর ছিলো ১৯৪৮ সাল। আর আমার জন্ম হয়েছে ১৯৬১ সালে। অপরদিকে শামসুল হক মেমোরিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন রেলওয়ে কারখানায় সক্রিয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো।
তাছাড়া শামসুল হক মেমোরিয়াল একাডেমি যেখানে প্রতিষ্ঠা করেছে ট্রেড ইউনিয়ন নের্তৃবৃন্দ, সেই জায়গায় অবস্থিত অবকাঠামো নির্মাণ করেছিলো রেলওয়ের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অবকাঠামো ক্রয় করে সেখানে শিশুদের জন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা। তাছাড়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে আমি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন স্থানীয় ইউএনও।
উল্লেখিত প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রেলওয়ের বাংলো নং-টি/১৪, এটি আমি দখলে নিয়েছি। অথচ ওই বাংলোতে বসবাস করছে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে রেডিওগ্রাফার মোছা. সুলতানা আকতার এবং রেলওয়ে কর্মচারিদের স্ত্রীদের গড়া সংগঠন মহিলা অংগনের অফিস রয়েছে সেখানে।
তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে খুশি হয়ে মানবতার মা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুইবার আমাকে উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক দেয়। আমি দুইবারেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করি। বর্তমানে আমাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে। অথচ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ভূয়া তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আমাকে ও দলকে হেয় করা হয়েছে। এ জন্য রেল কর্তৃপক্ষের দেয়া তদন্ত রিপোর্টের একাংশের তীব্র প্রতিবাদ করছি। একই সঙ্গে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের পুনঃতদন্ত দাবি করছি।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য বলেন, পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ নেতা শাহজাহান সরকার বাবলু, ভাইস চেয়ারম্যান আজমল হোসেন, সানজিদা বেগম লাকী, অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান হাফিজ, প্যানেল মেয়র-১ শাহিন হোসেন, প্যানেল মেয়র-২ আবুল কাশেম দুলু সরকার, প্রভাষক আব্দুল হাফিজ হাপ্পু, নজরুল ইসলাম নজু, ইদ্রিস আলী, মোবিন সরকার, আকতার হোসেন খান, শাহজাদা সরকার, আলহাজ্ব মজিবুর রহমান প্রমুখ।