কুড়িগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে ১১’শ ভূমিহীন পরিবার
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
জুন ১৭, ২০২১, ০৪:০৬ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
কুড়িগ্রামঃ জেলার ১১’শ ভূমিহীন পরিবার জমিসহ রঙ্গিন পাকা ঘরে বসবাসের স্বপ্ন দেখছে। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২য় পর্যায়ে নির্মিত পাকাঘর পাচ্ছেন গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলো। উপহারের এই ঘরগুলো পেলে স্থায়ীভাবে দুঃখ ঘুচবে অসহায়দের। এছাড়াও নতুন কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এসব পাকা ঘর হস্তান্তর প্রস্তুতি ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো.আব্দুল ওয়াহাব ভূইয়া। সদর উপজেলার ধরলা নদীর সন্নিকটে ৮ দশমিক ২৫ একর জমির ওপর নির্মিত ৯০ টি পাকাঘর সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পাঁছগাছী ইউনিয়নে নির্মিত ধরলা আশ্রায়ণ প্রকল্পে উপস্থিত হয়ে বিভাগীয় কমিশনার বিভিন্ন উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন ও তাদের খোঁজখবর নেন।
পরে মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুল ওয়াহাব ভূইয়া বলেন, জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। সেজন্য এসব পাকা ঘর নির্মাণ করে উপকার ভোগীদের দলিল করে দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোগ বিশ্বে বিরল। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গত ২৩শে জানুয়ারি প্রথম দফায় ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করেছেন। এটি সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ফিজানুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর গুলো আমরা যত্ন সহকারে সম্পাদন করেছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই সুফলভোগীরা এর সুফল ভোগ করবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন জানান, ২য় পর্যায়ে ৯০ টি পরিবারকে জমির সঙ্গে পাকাঘর করে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট এসব ঘরে রান্নাঘর ও টয়লেট সংযুক্ত রয়েছে। দেয়া হয়েছে টিউবওয়েল ও বিদ্যুৎ সংযোগ।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী মানুষের জীবিকায়নের জন্য আয় বর্ধক কাজে সম্পৃক্ত করতে সরকারের মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, কৃষি সহ সব বিভাগ কাজ করবে। যে ব্যক্তি যে কাজ করতে চান তাকে সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে উপকরণের ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, সদর উপজেলা ১০০টি, নাগেশ্বরী ১০টি, ভূরুঙ্গামারী ৫১টি, ফুলবাড়ী ১০৫টি, রাজারহাট ৮০টি, উলিপুর ১৫০টি, চিলমারী ৩০০টি, রৌমারী ২০১টি ও চর রাজিবপুর উপজেলায় ৭৩ টি সহ জেলায় মোট ১০৭০টি পাকা ঘর দলিল সহ হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রথম দফায় প্রতিটি ঘরের জন্য পরিবহন খরচ সহ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও এবার তা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা করা হয়েছে।