রাজশাহীঃ নগরীতে সর্বাত্মক লকডাউন জারি থাকলেও এলাকা বৃদ্ধির কথা ভাবছে প্রশাসন। এবার শহরের বাইরেও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বিবেচনা করে এটি কার্যকরের ঘোষণা আসতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বুধবার (১৬ জুন) রাত ৮ টায় নগরীর সার্কিট হাউজে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আলোচনা হওয়ার কথা হয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং রাতেই ঘোষণা দেয়া হবে।
লকডাউন এলাকা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে কমছে না মৃত্যুর মিছিল। বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। তবে সম্প্রতি গ্রামের রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। তাছাড়া গ্রামের লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রতি খুবই উদাসীন। তাই নগরীর পাশাপাশি গ্রামেও কঠোর লকডউন দেয়া প্রয়োজন। করোনা পরিস্থিতি একেবারে বেসামাল হলে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
রামেক হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, করোনায় মারা যাওয়াদের বেশিরভাগই ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা সেটিই মনে করছেন। করোনা ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের ৪০ শতাংশই গ্রামাঞ্চলের। ফলে গ্রামের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখার সময় এখনই।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. শামীম ইয়াজদানী বলেন, সম্প্রতি করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। কমছে না মৃত্যুর সংখ্যাও। তাই সংক্রমনের বিস্তার ঠেকাতে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বিধিনিষেধ আরোপ করা দরকার। তবে লকডাউনের সুফল পেতে সাত দিন নয়, অন্তত ১৪ দিনের লকডাউন জারি করতে হবে।