সুমন ইসলাম, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
জুন ১৫, ২০২১, ০১:০৬ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
ফরিদপুরঃ একমাত্র নৌ-বন্দরটি হচ্ছে সদর উপজেলার ডিগ্রিরচর ইউনিয়নে। নৌ-বন্দরটি স্থানীয় নাম অনুসারে সিঅ্যান্ডবি ঘাট হিসেবে পরিচিত। এই নৌ-বন্দর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার ছোট বড় ট্রাক, যাত্রীবাহী মাহেন্দ্র ও অটোবাইক চলাচল করে। সড়কে কাদাপানি, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ, সড়কে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়েছে।
তাছাড়া নৌ-বন্দরের এ সড়ক দিয়ে ডিক্রিরচর ও নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ যাতায়াত করে থাকে।
দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার না করায় এ সড়কটি যানবাহন ও মানুষ চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ সড়কটি দেখলে বোঝাই যাচ্ছে না, এটি ইট দিয়ে তৈরি।
মনে হচ্ছে, পুরো সড়কটি কাদা মাটির তৈরি। বর্তমানে সড়কটির অবস্থা একেবারেই বেহাল। বৃষ্টির কারণে সড়কটির কাঁদা মাটিতে একাকার হয়ে গেছে। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ফরিদপুর সিঅ্যান্ডবি ঘাটকে ২০১৫ সালে নৌ-বন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ নৌ-বন্দর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট বড় কার্গো, জাহাজ ও ট্রলারে করে সিমেন্ট, পাথর, ইট, বালু, কয়লা ও পাটসহ বিভিন্ন পণ্য আনা-নেওয়া হয়।
তাছাড়া ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও নৌকা দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন যাত্রীরা।
সাম্প্রতিক সময়ে এ সড়কটির এক কিলোমিটার জায়গায় বিশাল আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কাদা মাটিতে একাকার হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া এ অঞ্চল দিয়ে চলাচলরত হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের মুখে পড়ছে। সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় একটি গরুর হাট রয়েছে।
সড়কটির বেহাল দশা থাকায় হাটে কেউই আসছে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাট ইজারাদার ও গরু ব্যবসায়ীরা। সড়কটির বেহাল দশার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ট্রাকচালক সরোয়ার হোসেন, মানিক দাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটির অবস্থা বেশ খারাপ। এখন বৃষ্টির কারণে আরো খারাপ হয়েছে। ট্রাক নিয়ে আসলে সব সময় ভয়ে থাকি, কোন সময় গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকার কয়েক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে। অথচ সড়কটি ঠিক করে না। এ সড়কটি খারাপ থাকায় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। পুরো সড়কজুড়ে কাদা মাটিতে সয়লাব থাকায় কেউই আর এ ঘাটে পণ্য কিনতে আসেন না।
এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক হেমায়েত জানান, আগে অনেক ভাড়া পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তেমন একটা পাই না। সড়কটি খারাপ থাকায় মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। ভয়ে কেউ আর মোটরসাইকেলে ওঠে না।
ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির জানান, এ বন্দর ঘিরে হাজার হাজার শ্রমিক ও ব্যবসায়ীর কর্মসংস্থান হয়। এ সড়কটি ঠিক করা না হলে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা কাজ হারাবে। তাছাড়া এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সড়কটির বেহাল দশার কারণে মানুষ নানা দুর্ভোগের মুখে পড়েছে।
বিআইডাব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (আরিচা ঘাট) মাসুদ পারভেজ জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দ্রুতই কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।