সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে আলফাডাঙ্গায় আরো ২৩০টি ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারি খাসজমিতে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে এসব সরকারি ঘর। যাদের থাকার জমি ও ঘর নেই তাদের পুনর্বাসনের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট বারান্দাসহ সেমিপাকা ঘর, রান্নাঘর ও বসত ঘরের সঙ্গে থাকছে টয়লেটও। এরপর উপকার ভোগীদের মাঝে ঘরগুলো বুঝিয়ে দেয়া হবে। প্রতিটি ঘরের সঙ্গে দলিল ও নামজারী করে দেয়া হচ্ছে দু’শতাংশ জমি।
এসব ঘর নির্মাণের জন্য প্রায় ৫০ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়। উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নে ১০০টি, গোপালপুরে ২৫০টি, টগরবন্ধে ১১৪টি, বানায় ৭১টি এবং পাচুড়িয়া ইউনিয়নে ৫৫টি ঘর দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে ২৫০টি ঘরকে কেন্দ্র করে চরকাতলাসুর গ্রামে মুজিব বর্ষ মডেল ভিলেজ তৈরি করা হচ্ছে। এ আবাসন এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে মসজিদ, মন্দির, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, হাট, খেলার মাঠ, ইদগাহ মাঠ, কমিউনিটি ক্লিনিক, শিশুপার্ক, ইকো পার্ক ও সামাজিক বনায়ন। ইতোমধ্যে মসজিদ ও মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আগামি জুলাই মাসের মধ্যে এসব কাজ শেষ হবে। এছাড়াও সকল ঘরের উপকারভোগীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলাহী বলেন, ‘প্রথম ধাপে প্রাপ্ত ৩৭০টি ঘর অসহায় পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের প্রাপ্ত ২৩০টি ঘরের কাজ জোরসোরে এগিয়ে চলছে। ভারী বৃষ্টিপাত, দাবদাহ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে মুজিববর্ষের গৃহনির্মাণের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এ মাসের মধ্যে ঘরগুলোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। এতে এলাকার নদী ভাঙন কবলিত, ভূমিহীন ছিন্নমুল মানুষ উপকৃত হবে।