কাদের মির্জার নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওপর হামলা

মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি জুন ১২, ২০২১, ০১:৪৯ পিএম
ছবি : আগামী নিউজ

নোয়াখালীঃ জেলার কোম্পানীগঞ্জে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই কাদের মির্জার নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের (৫২) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা বাদলের ব্যবহৃত গাড়ি ও তার সাথে থাকা উপজেলা আ’লীগের মুখপাত্র হাসিবুল হোসেন আলালকে জখম করে।

শনিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের সামনে বসুরহাট টু দাগনভূঞা সড়কে এই ঘটনা ঘটে।  অপরদিকে এ হামলার প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্চের বিভিন্ন ইউনিয়নে কাদের মির্জার বিরোধী মিছিল করছে বাদল অনুসারীরা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা উপজেলা আ’লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশীধ মঞ্জু বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আ’লীগ নেতা আলালসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে বসুরহাট হয়ে রহনা করে। যাত্রা পথে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে কাদের মির্জা তার ৪০-৫০জন অনুসারী নিয়ে বাজার পরিদর্শন করে আসার পথে বাদলের গাড়ির মুখোমুখি হয়। এ সময় কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল, ডাকাত মাসুদ খান, শিহাব, সজল, আরিফ, ওয়াসিমসহ ৪০-৫০জন অনুসারী মিজানুর রহমান বাদলের গাড়ির গতি রোধ করে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। উপজেলা আ’লীগের মুখপাত্র মঞ্জু অভিযোগ করেন,হামলাকারীরা প্রথমে তার গাড়ির পিছনে গুলি করে। এক পর্যায়ে গাড়ির গতি রোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার হাত-মাথা পাটিয়ে দেয়,পা ও বুকের হাড় ভেঙ্গে দেয় এবং কানে গুরুত্বর জখম করে।

বাদলের সফর সঙ্গী আ’লী নেতা আলাল জানান, চাপরাশিরহাট বাজার থেকে সকাল ৯টার দিকে আমরা দুই জন বসুরহাট হয়ে গাড়িতে করে ঢাকা যাচ্ছিলাম। যাত্রা পথে আমাদের গাড়িটি বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে কাদের মির্জা নেতৃত্বে তার অনুসারীরা গাড়ির গতিরোধ প্রথমে গাড়ির পিছনে গুলি করে। একপর্যায়ে বাদলসহ আমাকে এলাপাতাড়ি পিটিয়ে বুকের হাড়,হাত-পা ভেঙ্গে মাথা পাটিয়ে দেয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো.জোবায়ের জানান,হামলায় তার বুক, হাত, পা, মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,পুলিশ বিয়টি খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।