ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ জেলার আখাউড়ায় মারামারির মামলাকে কেন্দ্র করে আব্দুল মজিদ নামের ৬৫ বছরের বৃদ্ধাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।।
শুক্রবার (১১ জুন) বিকেল ৫টার দিকে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ইটনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুল মজিদ উপজেলার ওই ইউনিয়নের খারকোট গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার মৃত সোয়া মিয়ার ছেলে। তিনি এলাকায় কৃষক হিসেবে পরিচিত।।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আব্দুল মজিদ আজকে তার মেয়ের শ্বশুর বাড়ি গংগাসাগর গিয়েছিলেন। ওই সময় স্থানীয় আব্দুর রশিদের ছেলে মান্নান মিয়া পূর্ব শত্রুতার ও মারধোরের মামলা দায়েরের বিষয়কে কেন্দ্র করে আব্দুল মজিদকে মান্নান মিয়া ও তার সাথে আরও ১০-১৫ জন দুর্বৃত্ত আব্দুল মাজিদকে ইটনা গ্রামের একটি বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ওইখানে আব্দুল মজিদকে বেধে মারধোর করেন এবং তার বাম পা পিটিয়ে জখম করেন।
আহতের ভাতিজা সজিব জানান, তার চাচাকে মারধর শেষে মান্নানের বাড়িতে নিয়ে আটক করে রাখেন দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেন। এর আগে তার চাচা আব্দুল মজিদের মামাতো ভাই নুরুল ইসলাম একই এলাকার মান্নানের ছোটভাই সবুজকে পূর্বের শক্রতা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে মারধর করেন। পরে সবুজের ছোটভাই জসিম আখাউড়া থানায় একটি মামলা করেন। ঐ মামলায় তার কাকা নুর আলমকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, তার চাচা আব্দুল মজিদের কি দোষ ছিল। আমরা যেহেতু অন্যায় করেছি আমাদের মারেন, আমার চাচাকে কেন মারলেন। আমার চাচা এখন গুরুত্ব আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। কেন আমার চাচার উপর হামলা করা হয়েছে তার সঠিক বিচারের দাবি করেন।
এদিকে আহত আব্দুল মজিদকে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে৷
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহত আব্দুল মজিদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারী যে কেউ হউক না আহত আব্দুল মজিদের প্রতি আইনী সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে।