যশোরঃ জেলার বেনাপোল পোর্ট থানার ভবেরবেড় গ্রামে সপ্তম শ্রেনীর মাদ্রাসা পড়ুয়া এক প্রতিবন্ধী (১৩) ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পাশ্ববর্তী ফুফু বাড়িতে নিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণের চেস্টা করে মান্না। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষণ চেষ্টাকারী মান্না পলাতক রয়েছে।
রোববার (০৬ জুন) কিশোরীর মা বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযুক্ত ধর্ষণ চেষ্টাকারী মান্না বেনাপোল পৌরসভার ভবারবেড় গ্রামের সোহারাব গাজীর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে থানার ভবেরবেড় গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় রেলওয়ে বস্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে।
ভুক্তভোগি সপ্তম শ্রেনীর প্রতিবন্ধী মেয়েটি বলে সন্ধ্যার সময় কেউ আশে পাশে ছিল না তখন মান্না আমাকে টিউবয়েল থেকে মুখ চেপে ধরে তার ফুপু ছায়রা বেগমের ঘরে নিয়ে যায়। আমাকে চিৎকার করলে গলা টিপে মেরে ফেলার
হুমকি দেয়। এর জন্য আমি চিৎকার করতে পারিনি। এরপর পাশের বাড়ির ময়না আমাদের ঘরের মধ্যে কথা শুনতে পেয়ে ওই ঘর খুলতে বলে লোকজন ডেকে। এসময় মান্না আমাকে চাউলের ড্রামে ঢুকিয়ে দেয়। পরে আমার শ্বাস প্রশ্বাসে অসুবিধা হলে আমি ড্রাম থেকে বের হয়ে সবাইকে সত্য কথা বলে দেই।
প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা বলেন, মেয়েকে বাড়িতে রেখে তার অসুস্থ শ্বশুরকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা দিন মজুর পরিবার। অনেক কষ্টে প্রতিবন্ধী মেয়েকে লেখাপড়া করাচ্ছি। আমার মেয়ের সাথে এমন জঘন্য
আচরণ করে আবার বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করছি। তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিচারের আশ্বাস দিলেও বিচার না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল হোসেন জানান, এঘটনায় থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়ে রোববার দুপুরে অভিযুক্ত ছেলে ও ভূক্তভোগী মেয়ের বাড়িতে
যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছেলেটি ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাকে আটকে অভিযান চলছে।