নোয়াখালীঃ জেলার (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়েরিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় স্যালাইন ক্রয়ের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে দেড় লক্ষ টাকার অনুদান দেন।
রোববার (৬জুন) দুপুর ১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শায়েলা সুলতানা ঝুমা অনুদনের নগদ অর্থ গ্রহণ করেন।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়,এ উপজেলায় ডায়েরিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় স্যালাইন সংকটে পড়ে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি। ডায়েরিয়া রোগীর জন্য পর্যাপ্ত স্যালাইন ব্যবস্থা না থাকায় সঠিক চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পরে বিষয়টি সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শায়েলা সুলতানা ঝুমা সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্যাহ আল মামুন জাবেদকে অবহিত করলে তিনি নোয়াখালী—৪ আসনের (সদর—সুবর্ণচর) সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে অবহিত করেন।
এমপি একরামুল করিম বিষয়টি জানার সাথে সাথে স্যালাইন ক্রয়ের জন্য দেড় লক্ষ টাকা নগদ অনুদান দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম রাজিব,সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক আব্দুল্যাহ আল মামুন জাবেদ, চরবাটা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ফয়সাল আকাশ, সাংবাদিক ইমাম উদ্দিন সুমন, ছাত্রলীগ নেতা বাবলু,আজাহার উদ্দিন রাব্বি প্রমূখ।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শায়েলা সুলতানা ঝুমা বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই স্বাস্ব্য সেবা চালিয়ে যেতে এমপি একরামুল করিম চৌধুরী যে অনুদান দিলেন সেটা সত্যই বিস্ময়কর। আমি কখনো ভাবতে পারিনি তিনি রোগিদের জন্য এতে দ্রুত এই অনুদান দেবেন এতিপূর্বেও তিনি বিভিন্ন সময় হাসপাতালের নিজস্ব তহবিল থেকে অনুদান দিয়ে আসছেন।
আমিনুল ইসলাম রাজিব বলেন, করোনাকালে সংসদসদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ঘরবন্দী মানুষের জন্য খাবার পৌঁছে দিয়েছেন, সেটি এখনো অব্যাহত আছে, সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে এমপি সাহেব পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সুবর্ণচর একটি মাত্র হাসপাতালটিতে তিনি সব সময় অনুদান দিয়ে আসছেন, এর আগে তিনি অ্যাম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন সরংঞ্জাম প্রদান করেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল্যাহ আল মামুন জাবেদ বলেন,এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর হস্তক্ষেপের কারণে এগিয়ে যাচ্ছে এই হাসপাতালটি।