নবীনগরে হাসপাতাল থেকে বাচ্চা চুরি

মো. আজহার উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি জুন ৬, ২০২১, ০৭:৩৬ পিএম
চুরিকৃত ৪৭ দিনের শিশু, ছবিঃ আগামী নিউজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ নবীনগর পৌর এলাকার মাঝিকাড়া গ্রামের মিঠু মিয়ার ছেলে ওবায়েদকে (৪৭ দিন বয়স) আহমেদ হাসপাতাল থেকে প্রতারণার মাধ্যমে চুরি করেছে প্রতারক চক্র।
 
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রবিবার (৬ জুন) দুপুর ২ টায় সরকারী অনুদানের প্রলোভন দেখিয়ে ঐ শিশুর মা সাবিনা আক্তারকে জনৈক এক মহিলা বাড়ি থেকে পৌর শহরের আহমেদ হাসপাতালে নিয়ে আসেন আলট্রাসনোগ্রাফি করানোর জন্য। এক পর্যায়ে আলট্রাসনোগ্রাফি করানোর খরচের টাকা রিসিপশনে জমা করে চুরি হওয়া শিশুর মাকে আলট্রা রুমে পাঠায়। শিশুটির মা তাকে ঐ জনৈক মহিলার কোলে আহমেদ হাসপাতালের রোগীদের অপেক্ষার রুমে রেখে আলট্রা রুমে প্রবেশ করেন, আলট্রা শেষে বের হয়ে দেখেন তার ছেলে শিশু ও ঐ জনৈক মহিলা রেখে যাওয়া স্থানে নেই। ঘটনাটি সন্দেহজনক হলে সে হাও মাও করে কান্নাকাটি করে সুর চিৎকার করে তার ছেলে শিশু চুরি হয়েছে বলে লোকজন জড়ো করতে থাকেন।
 
আহমেদ হাসপাতালের রিসিপশনের থাকা আমির হোসেন বলেন,আমার কাছ থেকে সাবিনা আক্তার নামক এক মহিলা আলট্রাসনোগ্রাফি করার জন্য রশিদ কাটলে তার সাথে থাকা জনৈক মহিলা বিল পরিশোধ করে তাকে আলট্রা রুমে পাঠায় এবং তার বাচ্চা ঐ মহিলার কোলে নিয়ে হাসপাতালের টিনসেডে বসে থাকতে দেখি। পরোক্ষনে সাবিনা আক্তার আলট্রাসনোগ্রাফি শেষে বের হয়ে তার শিশুটি চুরি হয়েছে বলে চিৎকার করতে থাকেন।
 
এ বিষয়ে শিশু ওবায়েদের মা সাবিনা আক্তার বলেন, গতকাল এক মহিলা আমার বাড়িতে গিয়ে বলেন যাদের বাচ্চার বয়স ৩ মাসের কম তাদের সরকারের পক্ষ থেকে সেমাই, চিনি, কাপড়চোপড় দেয়া হবে তারজন্য আহমেদ হাসপাতালে গিয়ে কার্ড করতে হবে মর্মে আজ আমাকে ফোন করে দুপুরে আসতে বলায় আমি আহমেদ হাসপাতাল আসি। সে আমাকে আলট্রাসনোগ্রাফি  করানোর কথা বলে আমার বাচ্চাকে তার কাছে রেখে আলট্রা রুমে পাঠায়। আলট্রাসনোগ্রাফি শেষে এসে দেখি ঐ মহিলা আমার সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। সরকারের কাছে আমি অনুরোধ জানায় যেভাবে হোক আমার সন্তানকে ফিরে পেতে সহযোগিতা করোন।
 
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রশিদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে চুরি হওয়া শিশুর মা সাবিনা আক্তারের সাথে কথা বলেছি,আহমেদ হাসপাতালের সিসি ফুটেছে দেখা গেছে একজন মহিলা একটি শিশুকে কোলে নিয়ে দ্রুত হাসপাতাল থেকে প্রস্থান করেছে, চুরি হওয়ার ঘটনা সত্য। শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়েছি, মোবাইল ফোনে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। আশাকরি অতি শীঘ্রই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।