মো:নাজমুল হোসেন রনি, রাঙ্গামাটি সদর প্রতিনিধি
জুন ৫, ২০২১, ০৬:১৯ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
রাঙামাটিঃ ৫ ই জুন রোজ শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া এসে শান্ত করে দিয়ে গেছে রাঙ্গামাটির জনজীবন। এতে গেল কয়েকদিন আগের গরমে অতিষ্ঠ জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি।
শনিবার বেলা ১২ টার দিকে রাঙামাটিসহ প্রায় ১০ উপজেলার বিভিন্ন স্থানেই বিশেষ করে কাপ্তাই, কাউখালী, নানিয়ারচর, এ বৃষ্টি ও বাতাস হচ্ছে। এতে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায় নি। তবে হঠাৎ বৃষ্টিতে রাস্তায় থাকা ব্যস্ত মানুষরা আটকে পড়েছে, নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে আশেপাশের দোকানপাট, বাড়ির সামনের বারান্দা ইত্যাদিতে আশ্রয় নেন পথচারীরা,তবে ভারী বৃষ্টিতে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা,রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের কড়া নজরদারি করা হচ্ছে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসরত পরিবারদের উপর।
সকাল থেকেই রাঙামাটিসহ উপজেলাগুলোতে রোদের তাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বজ্রসহ রোদের ফাঁকে ফাঁকে মেঘ উঁকি মারতে থাকে। এ সময় ১২ থেকে ১৬ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যায়। অনেকদিন থেকেই চলমান তাপপ্রবাহের কারণে যখন জনজীবন অতিষ্ঠ ছিল মানুষ জন,ঠিক সেই মুহুর্তে বৃষ্টি সকলের মনে প্রশান্তি ফিরে এনেছে।
শনিবার (৫ জুন) সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারিধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রাঙ্গামাটির দশটি উপজেলাতে ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি আরো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,দশটি উপজেলার মধ্যে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসরত পরিবারকে সরিয়ে নিতে জোর কার্যকারিতা চালানো হচ্ছে বিশেষ করে নানিয়ারচর,কাউখালী,কাপ্তাই উপজেলা রেড সিগন্যালে রয়েছে।
আবহওয়া পূর্বাভাস সূত্রে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে, এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ইয়াঙ্গুন উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং তা আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে।
আগামী তিনদিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো:মিজানুর রহমান জানিয়েছেন,রাঙ্গামাটিতে ভারি বর্ষণের ফলে গত কয়েক বছরে পাহাড় ধ্বস হয়েছে,তাই জেলা সহ উপজেলাগুলোতে মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে জনগনকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে জেলা, উপজেলা প্রশাসন সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।