ঝিনাইদহ: জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যাতায়াত উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। প্রতিদিন বিজিবি সীমান্ত এলাকা থেকে এসব অবৈধ যাতায়াতকারীদের আটক করছে। যাদেরকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ্দ এবং পরে আদালতে আনা হচ্ছে। তাতে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে সীমান্তের বাউলী গ্রামে একই পরিবারের ৬ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে। এসব কারনে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মহেশপুর উপজেলায় জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরী সভা ডেকে এ বিধিনিষেধ আরোপ করার সীদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ ও সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ, রাত ৮টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ও সীমান্ত দিয়ে যারা আসবেন তাদেরকে মহেশপুর উপজেলা শহরেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হবে। মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করবেন। যা শুক্রবার (০৪ জুন) থেকে কার্যকরী করা হবে। তবে লকডাউন ঘোষনা করা হয়নি।
ঝিনাইদহ জেলা প্রসাশক মোঃ মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, মহেশপুর ৫৮ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে.কর্নেল কামরুল আহসান, সিভিল সার্জন ডা.সেলিনা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা (রাজস্ব), ঝিনাইদহ পৌরসভা মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুসহ মহেশপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
এসময় জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান জনান, মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে প্রায় প্রতিদিন অবৈধভাবে লোকজন আসা যাওয়া করছেন। গত ঈদের আগে এ উপজেলার ন্যাপা ইউনিয়নের বাউলী গ্রামের ১ জন ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। তিনি ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে কাজ করতেন। ওই বাড়িতেই একে একে ৬ জনের করোনা পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে একজনের নেগেটিভ এসেছে। বর্তমানে বাকি ৫ জন মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। যেহেতু উপজেলাটি সীমান্ত ঘেষা সেকারনেই লকডাউন ঘোষনা না করে প্রাথমিকভাবে কিছুটা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা.সেলিনা বেগম জানান, মহেশপুরের বাউলী গ্রামের ৬ জনের করোনা পজিটিভের মধ্যে ১ জনের নেগেটিভ এসেছে। বাকিদের অবস্থাও মুটামুটি ভাল। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলাতে করোনার প্রাদুর্ভাব কম।