রাজশাহীঃ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) প্রায় ৬৪ হাজার ৭৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এ ক্যাপসুল পাবে নগরীর শিশুরা। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় নগর ভবনের সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রাসিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে সার্বিক চিত্র তুলে করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাতকানা রোগসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে শিশুর জন্য ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া অপরিহার্য। সেই লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছে রাসিক। আগামী ৫ জুন থেকে নগরীর ৩৮৪টি কেন্দ্রে এ ক্যাপসুল পাবে শিশুরা। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুরা পাবে একটি করে নীল রঙের ক্যাপসুল। আর ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের জন্য থাকবে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল। প্রতিটি কেন্দ্রে দুইজন করে ৩৮৪ কেন্দ্রে মোট ৭৬৮ জন স্বেচ্ছাসেবী এ ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি কেন্দ্র খোলা থাকবে সকাল ৮টা হতে ৪টা পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা জানান, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ১২০ জন। আর নগরী প্রায় ৫৫ হাজার ৯৫৬ জন শিশু থাকছে ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে। এ ক্যাম্পেইন সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক প্যানেল মেয়র সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, কোনো শিশু যেন ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর সরকারি এ কার্যক্রম থেকে বাদ না পড়ে, সেজন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইপিআই কার্যক্রমে রাসিকের সাফল্য উল্লেখযোগ্য। স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবেশ উন্নয়নে নানান পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে চলেছে রাসিক। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী দিনের শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারী কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রাসিকের ভ্যাটেনারি সার্জন ড. ফরাদ হোসেন, মেডিকেল অফিসার উম্মুল খায়ের ফাতিমা, মেডিকেল অফিসার মো. তারিকুল ইসলাম ও ফুড এন্ড স্যানিটেশন অফিসার শেখ আরিফুল হক উপস্থিত ছিলেন।