মাগুরাঃ করোনা পজিটিভ শুনে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে চিকিৎসাধীন তিন রোগী। পরে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে তিনটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ বুধবার সকালে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটনা ঘটে।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) ডাক্তার কাজী আবু আহসান জানান, গত সোমবার (৩১ মে) রাতে করোনা উপসর্গ জ¦র, ঠান্ডা-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ছয়জন রোগী। মঙ্গলবার তাদের কাছ থেকে নমুন সংগ্রহ করে যবিপ্রবি ল্যাবে পাঠানো হয়। গতকাল বুধবার সকালে রিপোর্ট আসে। সেখানে ৬ জনের মধ্যে তিনজনের করোনা পজিটিভ আসে।
দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিষয়টি ওইসব ব্যক্তিদের জানানোর পর তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়া করোনা আক্রান্তরা হচ্ছেন মহম্মদপুর উপজেলা সদরের রুইজানি গ্রামের মৃত হাসান উদ্দিন মুন্সীর ছেলে আলী আকবর মুন্সী (৬০), একই গ্রামের মৃত তমাল মোল্যার ছেলে আবু মোল্যা (৬০) ও বিনোদপুর এলাকার হাসেম মৃধার স্ত্রী (৫০) খাদিজা বেগম। ভর্তি রেজিস্ট্রারে থাকা রোগীর মোবাইলফোন নম্বররও বন্ধ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন জানালে পলাতকদের তাদের অবস্থান জানতে বের হয়। পরে রুইজানি গ্রামে দুইজনকে তাদের বাড়িতে পাওয়া গেলেও নারানপুর গ্রামের ওই রোগিকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের আত্মীয় বাড়িতে পাওয়া যায়। আক্রান্তদের অবস্থান নেয়া ওই তিন বাড়ি লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ওই তিনজন করোনা রোগীর অবস্থান নেওয়া তিনটি বাড়িই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে লাল পাতাকা টাঙানো হয়েছে। এছাড়া তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিভিল সার্জন ডাক্তার শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, গতকাল বুধবার ২৭টি প্রাপ্ত রিপোর্টের মধ্যে মহম্মদপুরে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মাগুরা থেকে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য এ পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৯৮২টি সন্দেহজনক নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এসেছে ৭ হাজার ৯৫৫টি। যার মধ্যে করোনা পজিটিভ ১ হাজার ২৬০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১২১৭ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে আছেন ১৬ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৪ জন।