চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ জেলায় সাত দিনের সর্বাত্মক বিশেষ লকডাউন চলছে। বুধবার (২৬ মে) দ্বিতীয় দিনের মত বিশেষ এই লকডাউন সারা জেলাজুড়েই চলছে। জরুরী পরিষেবা ছাড়া বন্ধ রয়েছে দোকান-পাট, শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরা। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার গণপরিবহন। জেলা থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাসও।
পাশাপাশি সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মেনে চলতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মোবাইল টিমও।
দ্বিতীয় দিনে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘর থেকে বের হতে খুব একটা দেখা যায়নি। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় জেলা শহর ও উপজেলা শহরে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের অফিসে যেতে আসতে দূর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে। যানবাহন চলাচল না করায় অনেককেই পায়ে হেটে বিভিন্ন গন্তব্যেও যেতে দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, বিশেষ লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর এবং সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মেনে চলতে বাধ্য করা হবে জনগণকে। যারা বিধি নিষেধ অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিন যারা বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেনি তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে ১১৭টি মামলা ও ৯০ হাজার ৯শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
তবে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ উল্লেখ করে জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানিয়েছেন, সংক্রমণ বাড়ার পেছনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঈদ যাত্রাকেই দায়ী করছেন এবং স্থানীয়ভাবেই এই সংক্রমণ বেড়েছে। তবে ভারতে সঙ্গে সীমান্তজনিত এলাকা হওয়ার কারণে সংক্রমণ বাড়ার কারণ খুব কম বলেও তিনি জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১৩১জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫০৩ জনে এবং এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইকবাল হোছাইন জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমানো লক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়ন করে আসছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া এবং সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়া বা গাড়ি ছাড়া কাউকে জেলার বাইরে বা ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। মঙ্গলবার থেকে এই জেলায় কঠোর ভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর আগামী যেদিন লকডাউন চলবে কঠোর ভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে।