পটুয়াখালীঃ জেলার কলাপাড়ায় অন্যায়ভাবে পরপর ৬টি মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন টিয়াখালী ইউনিয়নের অসহায় নারী রুনা বেগম। সোমবার (২৪ মে) দুপুরের দিকে কলাপাড়া রিপোর্টাস ইউনিটি কার্যালয় এ সংবাদ সম্মেলন অনষ্ঠিত হয়। এর সুষ্ঠু বিচার এবং হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিস্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে সম্মেলন করেন মোসা: রুনা বেগম। এসময় তার সাথে পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে রুনা বেগম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি অসহায় মহিলা আমার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ৬টি মিথ্যা মামলা দেওয়ায় আমি সর্বশান্ত হয়ে পরেছি। ছেলে সন্তান নিয়ে বর্তমানে না খেয়ে দিন কাটাইতেছি। ২০১৮ সালে স্বামী মো.আমির হোসেন এর নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ ২০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকে সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ রুহুল আমিন চাকুরী রক্ষার স্বার্থে আসামী ধরিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এমনকি মোঃ রুহুল আমিন এক লক্ষ টাকা নিয়া মাদক ব্যবসা করার প্রস্তাব দেয়। প্রতি মাসে দুটি করে আসামী ধরিয়ে দিতে বলে। এতে রাজী না হলে ক্ষিপ্ত হয়ে একের পর এক স্বামী আমির হোসেন এবং আমার নাবালক সন্তান রায়হানের নামে ৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো বলেন, গত ২২ মে শনিবার সকালে টিয়াখালী ইউনিয়নের বাদুরতলী গ্রামের বাসিন্দা রুনার বসঘরে মো.মোস্তাফিজুর রহমান বিভাগীয় স্ট্যাফ উপ-পরিদর্শক, মো.রুহুল আমিন সহকারী উপ-পরিদর্শক, মো.জহিরুল ইসলাম সিপাই, সঞ্চয় কুমার সাহা, মো.আবুল হাসানসহ কর্মকর্তা কর্মচারী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ, কলাপাড়া, পটুয়াখালী সকলে মিলে একজোট হয়ে বাড়িতে গিয়ে আমার স্বামীকে আটক করে। আমি প্রতিবাদ করেলে তার ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীকে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারিতে থাকে। আমি ও আমার ছেলে উদ্ধার করিতে গেলে আমাকে ছেলেকেও কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া এবং টানা হেচড়া করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাপা ফুলা জখম করে।
লিখিত বক্তব্য তিনি আরো বলেন, মারধরের এক পর্যায় রুহুল আমিন ও সঞ্জয় সাহা আমার বসত ঘরে প্রবেশ করে স্টীলের ট্রাংকের মধ্যে থাকা পার্স ব্যাগটি বাহির করে নিয়ে আসে। এর মধ্যে নগদ ১৩ হাজার টাকা এবং উত্তরা ব্যাংক লিঃ এর চেক ও জমা বই তার নিয়ে যায়। আমি অসহায় মহিলা আমার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ৬টি মিথ্যা মামলা দেওয়া আমি সর্বশান্ত হয়ে পরেছি। ছেলে সন্তান নিয়ে বর্তমানে না খায়ে দিন কাটাইতেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার পাওয়া এবং হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিস্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিদশক মো. ফরহাদ হোসেন গনমাধ্যমকে বলেন, মোসা: রুনা বেগমের অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।