পটুয়াখালীঃ জেলার কলাপাড়ায় নব-নির্মিত দুটি আধুনিক সুবিধা সংবলিত মুজিব কিল্লা ও ৩ টি আশ্রয়ন কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। একইসময় এ উপজেলায় আরও ৫ টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়। রবিবার সকাল দশটায় ভিডিও
কনফারেন্সে গনভবন থেকে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় চাকামইয় ইউনিয়নের নেওয়াপাড়া মুজিব কেল্লা প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা ত্রান ও দূর্যোগ পুনার্বসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও চাকামাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কেরামতসহ স্থানীয় সংবাদকর্মী ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
স্থানীয় এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানায়, নবনির্মিত এ মুজিব কিল্লায় শুধু নেওয়াপাড়া গ্রামেরই নয়। পাশের কাছিমখালী, গান্ধাপাড়া, আনিপাড়া, কামরাপাড়া ও মৌলভীরতবক গ্রামের মানুষও এখন থেকে ঝড়-বন্যার সময় এ কিল্লায় আশ্রয় নিতে পারবে। পূর্ব টিয়াখালী গ্রাম ছাড়াও উত্তর টিয়াখালী গ্রামের মানুষজন দুর্যোগের সময় কিল্লায় এসে আশ্রয় নিতে পারবে। ‘কিল্লাডা অওয়নে বইন্যার সময় এহন মোগো আশ্রয় নেওয়ার জায়গা হইলো। ঝড়-বইন্যা হইলে অ্যাহন মোরা এই কিল্লার উপরেই গরু-বাছুর লইয়া আশ্রয় নেতে পারমু।’-এ কথাগুলো বলেন চাকামইয়া ইউনিয়নের নেওয়াপাড়া গ্রামে মুজিব কিল্লার পাশে বসবাসকারী ষাটোর্ধ মো: মুজাম্মেল।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক বলেন, আশপাশে কোনো ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় এই দুটো মুজিব কিল্লা মানুষের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র হয়ে থাকবে। বাকি প্রকল্প যা আছে তা অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে। এছাড়া ঝড় পরবর্তি সময়ে কিল্লাগুলো স্থানীয় মানুষজন বহুমুখী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
পটুয়াখালী জেলা ত্রান ও দূর্যোগ পুনার্বসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, কলাপাড়ায় ২৩ মুজিব কিল্লার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দু’টি উদ্বোধন করেছেন। এছাড়া ৫টি মুজিব কিল্লার কিল্লার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। বাকি মুজিব কিল্লার কাজ শীঘ্রই সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়াতে কলাপাড়ায় এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২ সালে দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষ ও সম্পদ রক্ষায় কলাপাড়ায় মাটি দিয়ে নির্মিত ২৩টি মুজিব কেল্লাগুলোকে আশ্রয়ের জন্য সংষ্কারের নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু। পরে আধুনিক যুগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এসব মুজিব কিল্লায় আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ভবন নির্মান কাজ শুরু করা হয়।