বরিশালঃ জেলার আগৈলঝাড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিজের গর্ভের চার মাস বয়সের ভ্রুণ হত্যা করে অন্যের ফ্রিজে রাখার অভিযোগ উঠেছে। স্বামীকে ফাঁসাতে স্ত্রীর এমন কর্মকান্ডের খবর পেয়ে উপজেলার বেলুহার গ্রামের ওই ঘটনাস্থল থানা পুলিশ পরিদর্শন করলেও এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
জানা গেছে, গত তিন বছর পূর্বে উপজেলার বেলুহার গ্রামের সিরাজ ভূঁইয়ার কন্যা সুমাইয়া আক্তারের সাথে পার্শ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার বিল্বগ্রাম এলাকার বাসিন্দা সাত্তার ঘরামীর পুত্র জামাল ঘরামীর সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। সম্প্রতি দাম্পত্য কলহের কারণে অন্তঃস্বত্তা সুমাইয়া তার বাবার বাড়ি চলে আসে।
সুমাইয়া আক্তার (২১) জানান, বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে স্বামীর সাথে অভিমান করে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নিজ গর্ভের সন্তানের ভ্রুণ নষ্ট করেন। পরে মৃত অবস্থায় সে ওই ভ্রুণ প্রসব করে। পরবর্তীতে সেই ভ্রুনটি একটি প্লাস্টিকের কৌটার ভিতরে রেখে গত ২০দিন আগে পাশের বাড়ির আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার ফ্রিজে রাখে সুমাইয়া। বুধবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার কন্যা ফ্রিজ পরিস্কার করতে গিয়ে প্লাস্টিকের কৌটা খুলে ভিতরে ভ্রুণ দেখতে পায়। এরপরই বিষয়টি তাৎক্ষনিক এলাকায় চাউর হয়। সুমাইয়া আরও বলেন, বর্তমানে আমার স্বামী আমাকে ভরন-পোষন না দেওয়ার কারনে আমি আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য হয়েছি। এরপর ওই ভ্রুণটিকে আমি আদালতে হাজির করার উদ্দেশ্যে পাশের বাড়ির ফ্রিজে রেখেছিলাম।
স্থানীয়দের দাবি, গর্ভের সন্তান বা ভ্রুণ নষ্ট করা আইনত অপরাধ। তারপরেও স্বামীকে ফাঁসাতে সেই ভ্রুণ অন্যের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানির পর কৌশলে সুমাইয়া ওই প্লাস্টিকে কৌটাটি গায়েব করে ফেলেছে।
এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।