শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে শ্রমিক বিক্ষোভ, অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি মে ১৯, ২০২১, ০৭:১৫ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

মৌলভীবাজারঃ জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও চা বাগান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অনৈতিক আচরণে শ্রমিকদের মধ্যে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চরমে উঠেছে। এতে চা-শ্রমিকরা গত মঙ্গলবার হতে অনির্দিষ্টকালে জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানা যায়।

এসময় শ্রকিদের প্রতিবাদের মুখে বাগানের এ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার ইফতেখার আহমদ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সাতগাঁও চা বাগান ডিসপেনসারিতে ম্যাসেঞ্জার পদে কর্মরত শ্যামল কুর্মী জানান, গত ১৫ মে শনিবার সকালে তিনি ডিউটিরত অবস্থায় চা বাগানে চুরি হওয়া ছায়াবৃক্ষের তল্লাশী করার অজুহাতে বাগানের এ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার ইফতেখার আহমদ তার বাড়িতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন। খবর পেয়ে বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ইফতেখার কাউকে কোন তুয়াক্কা না করে বরং তাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকী প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত প্রস্থান করেন। পরে ওইদিন রাতে শ্যামল কুর্মীকে আসামী করে বাগানের গাছ চুরি ও তার উপরে হামলার অভিযোগ এনে শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি পুলিশি তদন্ত থাকাকালীন অবস্থায় ১৭ মে সোমবার সকালে শ্যামল কুর্মীকে অফিসে ডেকে নিয়ে চা বাগানের ৯৯ডে অনুসারে ২৬ ধারায় তাকে কর্ম হতে বহিস্কারপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য জোর করা হলে ওই পত্রে স্বাক্ষর করতে অসম্মতি প্রকাশ করেন তিনি।

শ্যামল কুর্মীর বক্তব্যের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সাতগাঁও চাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাজল কালিন্দী, সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী, ইউপি সদস্য ঈশ্বর কালিন্দী প্রমুখ ব্যক্তিগণ বলেন, বাগান পঞ্চায়েত ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারকে না জানিয়ে কোন শ্রমিকের ঘর তল্লাশীর অধিকার বাগান ব্যবস্থাপকের নেই। এখানে এ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার ইফতেখার আমাদেরকে অবমাননা করেছেন। পরবর্ত্তীতে আমরা উক্ত বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে বাগান ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও আমাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেন। ফলে শ্রমিকরা ফুঁঁসে ওঠেন এবং এ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার ইফতেখার এর চাকুরি হতে অপসারণের দাবি করে ১৮ মে মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদে একাট্টা হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা।

এ ব্যাপারে সাতগাঁও চা বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা কর্মবিরতিসহ বাগান কর্তৃপক্ষের বিপক্ষে যে কোন বিক্ষোভ সমাবেশ করলে কর্তৃপক্ষকে পূর্বে নোটিশ করা উচিৎ কিন্তু আমাদের চা শ্রমিকরা এই আইন না মেনেই আন্দোলন করছে। আমরা বিষয়টি আইনীভাবে থানায় অভিযোগ করেছি।