কি করব বলেন- গ্রামে থাকলেও মরব, শহরে থাকলেও মরব!

নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৯, ২০২১, ১১:৪৯ এএম
ছবিঃ আগামী নিউজ

মাদারীপুরঃ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল ফেরা মানুষের প্রচন্ড ভিড় রয়েছে। পথে পথে ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

বুধবার (১৯ মে) সকাল থেকেই বাংলাবাজার-শিমুলীয়া নৌরুটে আজও কর্মস্থল ফেরা মানুষের ভিড় দেখা যায়। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই ঘাট এলাকায়। গাদাগাদি আর স্বাস্থ্যবিধিকে তোয়াক্কা না করে ঘাট পার হচ্ছেন কর্মস্থল ফেরা রাজধানীমুখী যাত্রীরা। গণপরিবহন না থাকায় পথে পথে নানা ভোগান্তির অভিযোগ যাত্রীদের। বাংলাবাজার-শিমুলীয়া নৌরুটে ছোট-বড় ১৩ টি ফেরি চলাচল করছে।

খুলনা থেকে আনোয়ার হোসেন স্ত্রী নিয়ে যাচ্ছেন উত্তরা। পথে পথে ভোগান্তিতে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। সকালে তাদের তাড়াহুড়া, স্ত্রী যাবেন পোশাক কারখানায় তাই যাচ্ছেন। তারা ভোগান্তির বর্ণনা দিয়ে গণপরিবহন না থাকায় সরকারে সমালোচনা করেন।

মিরপুরগামী সুমি আক্তার জানান, অফিসের ছুটি নিয়ে গ্রামে ছিলাম। ঢাকায় থাকলেও মরব ও গ্রামে থাকলেও মরব। তাই ঈদে পরিবারের কাছে গিয়ে মরাই ভালো। এখন ১০ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় যাচ্ছি। পরিবারের সদস্যদের রেখে আসতে কষ্ট লাগছে।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেশি। বহরে থাকা ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। তবে গাদাগাদি ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তাই করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গতকাল গাপালগঞ্জের থেকে আসা সুরাইয়া আক্তার নামে ওই যাত্রী যাত্রী অসুস্থ হয়ে পরে যান মাটিতে। তার আগেরদিন (রোববার) ঢাকাগামী শরীয়তপুরের এক নারী যাত্রী অসুস্থ হয়ে পরে যান মাটিতে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করেন।