কুষ্টিয়াঃ জেলার কুমারখালীতে এক গৃহবধুর মৃত্যুর ২৬ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূ বাগুলাট ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের আসাদ মুন্সী ওরফে উজ্জলের স্ত্রী।
সোমবার (১৭ মে) দুপুরে আদালতের নির্দেশে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বনি আমীনের উপস্থিতিতে কুমারখালী থানা পুলিশ পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। অপরদিকে শিলার লাশ উত্তোলনের খবর পেয়ে উৎসুক জনতা ভিড় জমান কবরস্থান ও আশপাশে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বনি আমিন জানান, গলিত লাশটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। প্রতিবেদন রিপোর্ট হাতে পেলে আদালতে দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
নিহতের পরিবার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল শিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। কিন্তু পোস্টমর্টেম ছাড়াই তার লাশটি দাফন করা হয়েছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানা উপপরিদর্শক (এস আই) পীযুষ কান্তি কর্মকার বলেন, লাশ দাফনের ৬ দিনপর শিলার ভাই আব্বাস মিয়া থানায় অভিযোগ করেন। পরে কোর্টের নির্দেশে থানায় গত ৪ মে মামলা রুজু হয়। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে নিহতের বড় ভাই ও মামলার বাদী আব্বাস মিয়া বলেন, ১৪ বছর আগে উজ্জলের সাথে বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকা ও সেনাবাহিনীর চাকুরীর জন্য বোনকে ওরা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। যৌতুকের টাকা না পেয়েই ওরা বোনকে ১৯ এপ্রিল দুপুরে হত্যা করে এবং ২০ এপ্রিল সকাল ৯ টায় বাঁশগ্রাম বাজার সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মামলার বাদী আরো বলেন, নিরাপত্তার অভাবে কাউকে কিছু জানাতে পারিনি। পরে বাড়ি ফিরে আত্মীয়দের সাথে পরামর্শ করে ২৫ এপ্রিল রাতে কুমারখালী থানায় অভিযোগ করি। গত ৪ মে থানায় মামলা রুজু হয়। মামলা নং ৬।