ভোলাঃ ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আসা ভোলার বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র গুলোতে ভিড় করছে দর্শনার্থীরা। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বেশিভাগ মানুষ।
ঈদের পরের দিন বিকেলে তুলাতুলি, শাহবাজপুর পিকনিক স্পট, ইলিশা ফেরিঘাট, চরফ্যাশন বেতুয়া লঞ্চ ঘাট, জ্যাকব টাওয়ার, বোরহানউদ্দিন গ্যাস ফিল্ড এলাকায় গুরে দেখা গেছে চারিদিকে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়, মানছে না সামাজিক দুরত্ব। দর্শনার্থীদের কেউ কেউ ভোলার তুলাতলী মেঘনা পাড়ে ট্রলারে-স্পিডবোটে উঠে চক্কর দিয়ে ঘুরে আসছেন মাঝনদীতে।
এর মধ্যেও বিভিন্ন স্পটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে দল বেঁধে মানুষকে ঘুরতে দেখা গেছে।
ভোলা শহর ঘুরে দেখা যায়, দুপুরে খাবার আর ওষুধের দোকান ছাড়া কিছু খোলা নেই। বেলা একটু পশ্চিমে হেলতেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায়। বিকেল চারটা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঝুমবৃষ্টি হয়েছে। তারপরে আকাশ ফরসা। বৃষ্টি শেষে জমে ওঠে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে বসা চটপটির দোকানগুলো। এখানে জেলা পরিষদ চত্বরে মাঝারি ধরনের ভিড় ছিল।
ঘুরতে আসা রিয়াজ সুমন বলেন, বিকেল কাটানোর চমৎকার স্থান ভোলা জেলা পরিষদ চত্বর। এখানে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে, ঈদ উপলক্ষে যার সংখ্যা বেড়ে গেছে।
ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট থেকে দক্ষিণে নাছিরমাঝি পর্যন্ত মেঘনা তীরে ব্লকবাঁধ। মে মাসে মেঘনা হয়ে ওঠে আরও উত্তাল। সাগরের মতো এদিক-ওদিক জলরাশি ছাড়া কিছু দেখা যায় না।
ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট স্পটে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মোঃআকতার হোসেন বলেন, প্রতিবছর ভোলার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। তবে এবার মানুষ কম। চরফ্যাশন উপজেলার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতেও মানুষের ভিড় ছিল।
চরফ্যাশনের বাসিন্দা এডভোকেট হারুন ফরাজী বলেন, বেতুয়া পর্যটন এলাকায় শত শত মোটরসাইকেল, রিকশা, মাইক্রোবাসে করে আসছেন দর্শনার্থীরা। অনেকের মুখে মাস্ক নেই।
হারুন ফরাজী আরও জানান, বেতুয়ার মতো একই চিত্র জ্যাকব টাওয়ার ও শেখ রাসেল শিশু পার্ক এলাকায়। সেখানেও অসংখ্য লোকের সমাগম। তবে টাওয়ারে ওঠা ও পার্কে প্রবেশ বন্ধ থাকায় অনেক দর্শনার্থী হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কিছু স্পটে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি সকলের মেনে চলা উচিত, তা না হলে ঝুঁকিতে পড়বে মানুষ।